মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম (Birbhum) জেলার বৈধ বালিঘাট মালিকদের অনলাইনে চালান কেটে তা ছাপিয়ে রাখতে হয়। বিক্রির সময়ে সেই চালান ট্রাক চালকদের হাতে দিয়ে দিলেই বালি নেওয়ার ছাড়পত্র মেলে। গড়ে প্রতিটি ট্রাক চালককে তিন হাজার টাকার রাজস্ব আদায়ের চালান নিতে হয়। সরকারি সেই চালান নকল ছাপিয়ে তা কম দামে বিক্রি করা হত। আর এই নকল চালানের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। রাতারাতি মালামাল হয়ে যায় নকল চালান তৈরির মালিক। লক্ষ লক্ষ টাকা আয়ও করেছে বেআইনি এই কারবার ফেঁদে। বছর দেড়েক ধরে এই কারবার চালানোর পর অবশেষে পুলিশ তদন্তে নামে। নকল কারবারির হদিশ পায় পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে ময়ূরেশ্বর থানার কলেশ্বরে হানা দিয়ে একটি ছাপাখানা ও তার মালিককে গ্রেফতারও করা হয়।
কীভাবে চলত এই চক্র? (Birbhum)
বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বর থানার কলেশ্বরের কুনুটিয়া গ্রামের মোড়ে রয়েছে একটি সাইনবোর্ড। সেখানে লেখা রয়েছে, বই বাঁধানো হয়। এই বই বাঁধানোর ছাপাখানার আড়ালেই চলত নকল চালানের কারবার। দিনে রাতে লাখ লাখ টাকার লেনদেন চলত। আর নকল চালানের কারণে জেলাজুড়ে রাজস্ব আদায় কমে যাচ্ছিল। তিন হাজার টাকার চালান পাঁচশো টাকায় বিক্রি করত বলে অভিযোগ। রাস্তার পাশের দোকানে হাত গলিয়ে 'বালি' বললেই হুবহু আসল চালানের মতো ছাপ দেওয়া কাগজ মিলছিল এতদিন। ট্রাকচালকরা ওই নকল চালান ব্যবহার করছিলেন বলেই খবর। দিব্যি কারবার চালাচ্ছিলেন কুনুটিয়া গ্রামের আলতামাস কবির মল্লিক। অভিযোগ, গোটা পরিবারই এই কাজে যুক্ত। তদন্তে নেমে পুলিশ এই নকল কারবারির হদিশ পায়।
ধৃতের কাছে থেকে কী কী বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?
মঙ্গলবার গভীর রাতে অতিরিক্ত জেলাশাসক অসীম পাল, ময়ূরেশ্বর থানার ওসি-সহ যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। বেআইনি কারবারে অভিযুক্ত আলতামাসের বাড়ি থেকে দামি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ছাপার যন্ত্র-সহ একধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বীরভূম (Birbhum) জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা তারও তদন্ত করবে পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours