মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমের (Sikkim) মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং হড়ফা বানে, তিস্তার গ্রাসে চলে গিয়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এই সড়ক টানা বন্ধ ছিল ১৭ দিন। ফলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগের লাইফ লাইনে ব্যাপক বিপত্তি ঘটেছিল। প্রতিদিন ছোট ছোট গাড়ি চলছিল। মেল্লিবাজারের আগে পাহাড় কেটে, এই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক চওড়া করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার থেকে এই প্রশস্তের কাজ শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। তবে সড়ক পুরোপুরি বন্ধ না থাকলেও যানচলাচলে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটবে বলে জানা গিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের বক্তব্য
কালিম্পং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “সিকিম যেতে জাতীয় সড়কের কাজ অবিরাম গতিতে চলছে। তিস্তাবাজার, রিয়াং, গেলখোলার মতো অনেক জায়গায় সড়ক সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। আপাতত একমুখী যান চলাচল করছে। কাজের জন্য গাড়ি আটকে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কোনও বিজ্ঞাপ্তি দিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়নি। সাময়িক যাতায়াতের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।”
গত মঙ্গলবার, আচমকা গুজব রটে যায়, সিকিম (Sikkim) যেতে ১০ নম্বর সড়ক ঠিকঠাক করতে বন্ধ করা হবে। আর তাই পুলিশ এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাস্তা খোলা রেখেই কাজ করা হবে। দুই চাকা এবং ছোট চার চাকা চলবে। তবে বড় গাড়ি, ট্রাক, বাসগুলিকে লাভা-গরুবাথান ঘুর পথে ঘুরে যাবে।
১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বিপর্যয় (Sikkim)
গত ৪ অক্টোবর ঠিক পুজোর মুখে সিকিমে বিরাট প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছিল। লোনাক হ্রদের জলে হড়পা বানে জাতীয় সড়কের অনেক অংশ জলে তলিয়ে যায়। এমনকি শ্বেতিঝোরা, রিয়াং এলাকায় বাস্তবে রাস্তা বলে কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের গাড়ি চলছিল ঘুরপথে। ইতিমধ্যে কেন্দ্র সরকার ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঠিক করার জন্য। আর সেই জন্যই প্রশাসন তৎপর হয়ে, রাস্তা মেরামতের কাজে নেমে পড়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours