মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। সেই শোক সামলাতে না পেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন স্ত্রী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালির বেনালি গ্রামে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিকাশ হালদার। তাঁর বয়স ছিল ৫৩ বছর। তিনি বগুলা হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম প্রীতি হালদার। তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার গভীর রাতে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dengue)
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছিলেন বিকাশবাবু। বগুলা হাসপাতালে তিনি কাজেও গিয়েছিলেন। তবে, এক সপ্তাহ পরেও সুস্থ হচ্ছিলেন না দেখে জ্বর এবং গলাব্যথার উপসর্গ নিয়ে বগুলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় তাঁকে। জ্বর না কমায় রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রক্ত পরীক্ষার পর জানা যায়, তাঁর ডেঙ্গি (Dengue) হয়েছে। ডেঙ্গির চিকিৎসার জন্য তাঁকে বগুলা হাসপাতাল থেকে রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রক্তে প্লেটলেট অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকে। বহু চেষ্টার পরও প্লেটলেট বৃদ্ধি পায়নি। মঙ্গলবার বিকেলে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় বিকাশবাবুর। শোকে ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী প্রীতি হালদার। স্বামীর মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রীতি। বিকাশের মৃত্যুর পর গ্রামের বাড়ি থেকে বগুলা হাসপাতালে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক থেকে শুরু করে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। পরে শেষকৃত্যের জন্য বিকাশের দেহ হাসপাতাল থেকে সরাসরি স্থানীয় শ্মশানঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
মৃতের পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?
বিকাশবাবুর ভাই প্রসেনজিৎ হালদার বলেন, দাদা বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় যে তার ডেঙ্গি (Dengue) হয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি। দাদার মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছতেই বউদি অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। দাদার মৃত্যুর পর বউদি এভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করবে, তা ভাবতেও পারিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours