মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই এক কোটিপতি পুলিশ কর্মীর হদিশ পেতে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। ওই পুলিশ কর্মী দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে তদন্ত শুরু হয়েছে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer) বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয় ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় থানার শাঁকশহর এলাকায়। ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম ফিরোজ মিদ্যা। তিনি কাশিপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Civic Volunteer)
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার ফিরোজ ও তাঁর লোকজন পুলিশের পরিচয় দিয়ে রহমত নামে এক ব্যবসায়ীকে ভাঙড় থানার বালিগাদ এলাকায় ডাকেন। রহমত সেখানে আসতেই ফিরোজে সহ অন্যরা তাঁর মুখ চাপা দিয়ে গাড়িতে তুলে নিউটাউনে নিয়ে যান। এরপরই ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে তারা । অপহরণকারীরা প্রথমে ৫০ লক্ষ টাকাও দাবি করে। পরে দর কষাকষিতে তা ১০ লক্ষে নামে। এই দরাদরির মাঝেই ব্যবসায়ীর স্ত্রী রশিদা বিবি ভাঙড় থানায় অভিযোগ জানান। নানা সূত্র মারফত খবর পেয়ে নিউটাউন এলাকা থেকে রহমতকে উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে গ্রেফতারও করা হয় ফিরোজকে। যদিও পরে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। তবে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ওই সিভিক কর্মীকে (Civic Volunteer)। বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম ফিরোজ মিদ্যা। তিনি কাশীপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার । ভাঙড় থানার পুলিশ ধৃতকে জেরা করে নতুন কোনও তথ্যের খোঁজে।
ধৃত সিভিকের বিরুদ্ধে আর কী কী অভিযোগ রয়েছে?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড় থানার শাঁকশহর এলাকার বাসিন্দা রহমত মোল্লার সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল সিভিক (Civic Volunteer) ফিরোজের। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার পুলিশের স্টিকার লাগানো চারচাকা গাড়ি করে এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন। এমনকী অভিযোগ, সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের আওতায় ভাঙড় থানা আসার পরই সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের জন্য ফর্ম পর্যন্ত ছাপান। যদিও এই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours