মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাড়ার মধ্যে রাস্তায় থাকা সরমেয়রা তারস্বরে চিৎকার করছিল। মাঝ রাতে পাড়ায় চোর ঢুকেছে ভেবে অনেকে বাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন। অনেকে আবার সারমেয়দের চিৎকার থামাতে ঘর থেকে বের হন। একেবারে পাড়ার রাস্তার মধ্যে ১০ ফুট লম্বা কুমির (Crocodile) দেখে এলাকাবাসী তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন। সারমেয়দের সঙ্গে মাঝরাতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসা লোকজনও প্রচণ্ড চিৎকার করতে থাকেন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রাস্তাতে কুমির দেখে হতবাক হয়ে পড়েন। সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়া এলাকায়।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Crocodile)
এমনিতেই কয়েকদিন আগে অগ্রদ্বীপের কালিকাপুর ফেরিঘাট খুলতে এসে অভিজিৎ হালদার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা গঙ্গার চরে ১২ ফুট লম্বা কুমিরকে শুয়ে থাকতে দেখেছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই কুমির দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল। পরে, বন দফতর এসে কুমিরটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এর আগেও গঙ্গার ধারে কুমির আসা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল। এই সব ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার কালনায় পাড়়ার মধ্যে কুমির (Crocodile) ঢুকে যাওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। রাত দেড়টা নাগাদ পালপাড়ায় কুমির দাপিয়ে বেড়ানোর খবর জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ভয়ে দরজা, জানলা লাগিয়ে ঘরবন্দি হয়ে বসে থাকেন। আর অনেকেই সারা রাত জেগে রাত পাহাড়া দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এতদিন গঙ্গায় কুমির (Crocodile) দেখা গিয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু, এভাবে বাড়ির দরজায় এতবড় কুমির হাজির হবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। কালনার বন দফতরের কর্মী, পুলিশ প্রশাসন এসে দড়ি দিয়ে এলাকাটি ঘিরে দেয়। রাত ভর ভিড় ছিল। সকাল হতেই পিল পিল করে মানুষ কুমির দেখতে ভিড় করে। তবে, এই ঘটনার পর থেকে এই এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সন্ধ্যা নামলেই ভয়ে কেউ আর বাড়়ির বাইরে বের হওয়ার সাহস দেখাবে না। প্রশাসনের অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
বন দফতরের কী বক্তব্য?
বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি জানার পরই কুমিরটিকে (Crocodile) উদ্ধার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কীভাবে কুমির লোকালয়ে এল তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours