মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোজিৎ বাগীশের কথা মনে আছে। 'কোটিপতি কনস্টেবল'। রামপুরহাটে কর্মরত ছিলেন তিনি। রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছেন। এই কনস্টেবলকে নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই আরও এক গুণধর কনস্টেবলের হদিশ মিলেছে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)। যদিও তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ওই কনস্টেবলের নাম সামনে আনতে চাইছে না। ওই কনস্টেবলের দুর্নীতির কাণ্ডকারখানা দেখে চক্ষু চড়কগাছ জেলা পুলিশ কর্তাদের।
ঠিক কী অভিযোগ? (Alipurduar)
রামপুরহাটের কনস্টেবলের কোটিপতি হওয়ার রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরমধ্যেই নতুন করে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) কনস্টেবলের কীর্তি সামনে আসায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারে ওই পুলিশ কনস্টেবল অনুপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপস্থিত দেখিয়ে সেই টাকা নিজের এবং আত্মীয়ের অ্যাকাউন্টে জমা করে বিপুল টাকা আত্মসাৎ করতেন বলে অভিযোগ। ৪-৫ বছর ধরে ওই কনস্টেবল রীতিমতো ছক কষে এই টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা প্রতারণার হিসেব পাওয়া গিয়েছে। আরও থাকতে পারে বলে পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন। এভাবে একজন পুলিশ কর্মী সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করতে পারেন, তা পুলিশ কর্তারা ভেবেই পাচ্ছেন না।
কী বললেন জেলার পুলিশ সুপার?
আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশি বলেন, গত কয়েকদিন আগে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মজুরি প্রদানের অসঙ্গতির বিষয়টি সামনে আসে। এরপরই এই ঘটনা নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করছি। তাতে দেখা গিয়েছে কিছু সিভিক ভলান্টিয়ার ডিউটিতে না এলেও তাদের যে প্রাপ্য ভাতা অন্য অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ওই কনস্টেবল অনুপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়াদের জাল বিলগুলিতে উপস্থিত দেখিয়ে সরকারি অর্থ তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বা তাঁর আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে জমা করেছিলেন। পেমেন্ট সফটওয়্যারে অ্যাকাউন্টের বিবরণ পরিবর্তন করে তিনি এই প্রতারণা করেছেন। আইন মেনে যা যা করার করা হচ্ছে। কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট জমা হলেই ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours