মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক দিন ধরেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার পর কি নিপার (Nipah Virus) কবলে পড়তে চলেছে রাজ্যবাসী! সম্প্রতি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রের খবর সে দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।
কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর?
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের মঙ্গলকোট এলাকার এক ব্যক্তি জ্বর, সর্দি-কাশি, বমির মতো উপসর্গ নিয়ে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখান থেকেই চিকিৎসকদের আশঙ্কা হয়, তিনি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। এরপরেই তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রেফার করা হয়। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপসর্গ দেখে সেখানেও চিকিৎসকদের আশঙ্কা, তিনি নিপা ভাইরাসে (Nipah Virus) আক্রান্ত হতে পারেন। এরপরেই তাঁর প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নমুনা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি-তে পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসলে তবেই নিশ্চিন্ত হতে পারবে চিকিৎসক মহল।
কেন উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল?
কেরলে ইতিমধ্যেই নিপা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়াতে শুরু করেছে। কোঝিকোড় সহ কয়েকটি জায়গায় আইসোলেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। রোগ ছড়িয়ে পড়া রুখতে এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু দিন কয়েক আগেই, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির রিপোর্ট জানিয়েছিল, কেরল ছাড়াও তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অসমের মতো রাজ্যগুলোয় নিপা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিপা হয় বাদুড় থেকে। বিশেষত তাল আর খেজুর গাছে এই বাদুড় থাকে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল সহ একাধিক রাজ্যে খেজুরের রস খাওয়ার রীতি রয়েছে। এমনকি খেজুর রস পচিয়ে নেশার পানীয় তৈরির রীতিও চালু আছে। আর সেখান থেকেই নিপা ভাইরাসের (Nipah Virus) প্রকোপ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছে।
কীভাবে জানান দেয় নিপা?
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একটানা তিন থেকে চার দিন জ্বর, মাথার যন্ত্রণা, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা, সর্দির মতো উপসর্গ নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের জানান দেয়। তাই এই উপসর্গ দেখা দিলে আর দেরি করা উচিত নয়। দ্রুত আলাদা ঘরে থাকা উচিত। যাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রোগ (Nipah Virus) না ছড়িয়ে পড়ে। পাশপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ মতো দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা দরকার। তবে, চলতি মরশুমে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের মতো একাধিক রোগের উপসর্গ হল জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা। আবার সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত হলেও এই ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, দু থেকে তিনদিন জ্বর আর মাথাব্যথার মতো উপসর্গ থাকলে আর অবহেলা করা উচিত নয়। প্রয়োজন রক্ত পরীক্ষার। কোন ধরনের সমস্যা হয়েছে তা দ্রুত নিশ্চিত করা জরুরি। তবেই পরিস্থিতি মোকাবিলা সহজ হবে। সময় মতো চিকিৎসা শুরু করা যাবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours