মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে যেন তৃণমূলের ঘর ভেঙেই চলেছে। ফের শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে (Bjp) যোগদান করতে দেখা গেল কোচবিহার জেলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতাকে। বুধবার গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন কোচবিহার ১ নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সিতেন বর্মন এবং চেয়ারম্যান অমল চন্দ্র সরকার। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই বারংবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কোচবিহার। লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। গাড়িতে হামলা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকেরও। ঝরে বেশ কতগুলি তরতাজা প্রাণ। এতকিছুর পরেও ভোটের ফল ঘোষণা হতে দেখা যায়, বিজেপি (Bjp) জোর টক্কর দিয়েছে শাসকদলকে।
আরও পড়ুুন: ভারতীয় অর্থনীতিকে দিশা দেখিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী
অস্বস্তিতে শাসক শিবির...
কোচবিহারের ১ নম্বর ব্লক থেকেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি হন শাসক দলের সুমিতা বর্মন এবং সহ-সভাপতি হন আব্দুল জলিল আহমেদ। কিন্তু সেই ব্লকেই দলের ভাঙনে জোর অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক শিবির। এদিন দলত্যাগী দুই নেতাই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, উত্তরবঙ্গে ক্রমশই পায়ের তলায় মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল। লোকসভা ভোট যত এগোবে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক তত বাড়বে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে চার গির্জায় ভাঙচুর, পোড়ানো হল বাইবেলও, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন খ্রিস্টানরা
কী বলছেন দলত্যাগী ২ নেতা
দলত্যাগী দুই নেতা বৃহস্পতিবার একঝাঁক কর্মী সমর্থক নিয়ে বিজেপিরজেলা অফিসে হাজির হন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়। বৃহস্পতিবার শাসকদলের দুই নেতাকে স্বাগত জানাতে কোচবিহার জেলা বিজেপির (Bjp) পার্টি অফিসে হাজির ছিলেন জেলা কমিটির একাধিক নেতা। দুই দলত্যাগী নেতার বক্তব্য, তৃণমূলে কোনও নীতি আদর্শ নেই। কোচবিহার জেলা তৃণমূল গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত। এখানে কেউ কাউকে মানে না। তাই মানুষের কাজ করতেই বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে বিজেপির (Bjp) জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘ওঁরা দুজনেই তৃণমূলের ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি (Bjp) জয়েন করলেন।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours