মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা দেশ জুড়ে খবরের শিরোনামে এসেছে। ভোট লুঠ, ছাপ্পা সত্ত্বেও বিজেপি (Bengal BJP) দশ হাজারের ওপর গ্রামসভা জিতেছে। আবার বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। এই আবহে কেন্দ্রীয় তলবে রবিবার দিল্লি উড়ে গেলেন বঙ্গ বিজেপির তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতা শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক হিংসার পরে, ২১ জুলাই অভিষেক-মমতা বিজেপি নেতাদের ‘বাড়ি ঘেরাও’ এর নিদান দিয়েছেন। এতেও রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে মমতা-অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন শুভেন্দু। নিশ্চিতভাবে দিল্লিতে ‘বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচির কথাও উঠবে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের।
কী বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষরা?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির পাশাপাশি লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হবে দিল্লিতে। সোমবারের বৈঠকে হাজির থাকবেন রাজ্যের সমস্ত সাংসদ, সাংগঠনিক পদাধিকারীরা। পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে বিজেপির (Bengal BJP) সত্তরের বেশি বিধায়ক এবং ১৬ জন সাংসদ রয়েছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘মুখে কংগ্রেস, সিপিএম যতই তৃণমূল বিরোধিতা করুক, রাজ্যের বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি সাংঠনিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। তৃণমূলের বিকল্প হিসাবে গেরুয়া শিবির নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছে।’’
জাতীয় স্তরের জোটের ফলে রাজ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট কংগ্রেস-সিপিএমের
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের এও ধারণা, ‘‘জাতীয় স্তরে জোটের নামে কংগ্রেস-সিপিএম-তৃণমূল এক হয়েছে। এর ফলে বাংলার মানুষের কাছে কংগ্রেস-সিপিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়েছে।’’ এমন অবস্থায় বাংলার শাসক দলের বিপক্ষে থাকা ভোট যে বিজেপির (Bengal BJP) দিকেই যাবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র ৭ মাস বাকি রয়েছে। পশ্চিবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি, সন্ত্রাস ইস্যুতে তৃণমূল বেশ ব্যাকফুটে। তাই অমিত শাহের বেঁধে দেওয়া ৩৫ আসনের টার্গেট কীভাবে পূরণ হবে, সেটাই আলোচিত হতে পারে দিল্লিতে। অন্তত এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours