মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা পরিস্থিতির (North India Flood) কারণে জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত উত্তর ভারতে, মৃতের সংখ্যা ৮৯। হিমাচল, জম্মু কাশ্মীর, হরিয়ানা, দিল্লি সর্বত্র স্বাভাবিক জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। গত কয়েক দিন ধরে একটানা প্রবল বৃষ্টিতে দিল্লির জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত। যমুনার জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে আগেই। বন্যা পরিস্থিতি (North India Flood) এতটাই ভয়ঙ্কর যে লালকেল্লার দেওয়ালেও যমুনার জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। গোটা রাজধানী যেন নেমে এসেছে ত্রাণশিবিরে। দুর্যোগ কবলিত অনেককে উদ্ধার করে সেখানে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। তবে, এখনও আশার বাণী শোনাতে পারেননি হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা। আবারও বৃষ্টি হবে বলে সতর্কবার্তা জারি করেই চলেছে মৌসম ভবন।
কী বলছে হাওয়া অফিস?
ইতিমধ্যে চারটি রাজ্যে কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। পূর্ব ভারতের ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড রয়েছে তালিকায়। উত্তর ভারতের হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডেও ১৭ জুলাই ভারী বৃষ্টি হবে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন। হাওয়া অফিস এও বলছে, ১৮ তারিখ থেকে বৃষ্টি অবশ্য কিছুটা কমবে। কিন্তু উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন, তেহরি সমেত বেশ কিছু স্থানে লাল সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ রাস্তাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রবল ধস দেখা গিয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। জানা গিয়েছে, ভারী বৃষ্টির (North India Flood) জেরে হিমাচলে সাতশোর বেশি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রবিবারই পিথোরগড় জেলার সীমান্ত এলাকার জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়েছে বৃষ্টির কারণে। শনিবারই যমুনেত্রী হাইওয়ে বন্ধের খবর মিলেছে।
এনডিআরএফ-এর উদ্ধারকাজ
বন্যা পরিস্থিতি (North India Flood) মোকাবিলায় দুর্গতদের উদ্ধারের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এনডিআরএফ। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি সর্বত্র চলছে উদ্ধার কাজ। প্রত্যেক রাজ্যেই খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। সেখানেও কাজ চালাচ্ছে উদ্ধার কর্মীরা। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৫৮টি টিম কাজ করছে এনডিআরএফ-এর। যার মধ্যে ১৬টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে দিল্লিতে। ১১টি করে টিম কাজ চালাচ্ছে উত্তরাখণ্ডে এবং ১০টি করে টিম কাজ করছে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours