মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের হিংসার বলি এবার স্কুলপড়ুয়া। তৃণমূল সমর্থক বাবার সামনেই বোমা মেরে স্কুলপড়ুয়া নাবালক ছেলেকে খুনের অভিযোগ উঠল। কাঠগড়ায় আইএসএফ ও সিপিএম। মঙ্গলবার রাতে সিপিএম-আইএসএফ সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর অনুগামীরাই বাড়ি ফেরার পথে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ইমরান হাসান (১৭)-কে বোমা ছুড়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জেরে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার সোহাই শ্বেতপুর অঞ্চল। অভিযুক্ত আইএসএফ সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সোহাই শ্বেতপুর অঞ্চলের গাঙগাটি গ্রামে এখনও পরিস্থিতি থমথমে হয়ে রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।
ঠিক কী ঘটনা?
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ দেগঙ্গার সোহাই শ্বেতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Vote) গাঙার্টি গ্রামে মিছিল করে যাচ্ছিলেন তৃণমূল সমর্থকেরা। সেই মিছিলেই ছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্র ইমরান। একই সময়ে মিছিল চলছিল বাম ও আইএসএফ সমর্থিত নির্দলদের। অভিযোগ, বামেদের মিছিল থেকেই তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। তা গিয়ে লাগে ওই ছাত্রের গায়ে। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হন তৃণমূলের কর্মী–সমর্থকরা। তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। জানা গেছে মৃত ছাত্র এক তৃণমূল কর্মীর ভাইপো। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তদের বারাসত আদালতে তোলা হবে।
দেগঙ্গাতে সংঘর্ষ চলছেই
মঙ্গলবার তৃণমূল এবং আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাও। পঞ্চায়েতের (Panchayat Vote) ২৩০ এবং ২০৯ নম্বর বুথ এলাকায় দুই দলের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন বলে জানা গিয়েছে। তারপর মঙ্গলবার রাতে বোমাবাজির ঘটনায় প্রাণ গেল ১৭ বছরের এক পড়ুয়ার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours