মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি করার আগে হাওড়ার একটি সোনার দোকানে রেইকি করেছিল দুষ্কৃতীরা। তবে, নিরাপত্তা জোরদার থাকায় সেই পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। পরে, তারা বারাকপুরে (Barrackpore) আনন্দপুরী এলাকায় ওই সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসে বাধা পেয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলে নীলাদ্রি সিংহকে তারা গুলি করে খুন করে। পুলিশি জেরায় ধৃতরা সে কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশি জেরায় ধৃতরা কী জানাল?
বারাকপুরে (Barrackpore) সোনার দোকানে খুনের ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই শফি খান ওরফে সানি এবং জামশেদ আনসারিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এর আগে সানি ঝাড়খণ্ডের একটি গ্যাংকে নিয়ে এসে কামারহাটি এলাকায় নাসির খান নামে একজনের বাড়িতে ডাকাতি করেছিল। পরিমাণ ছিল ২২ লক্ষ টাকা সোনা এবং নগদ দেড় লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় সানির জেলও হয়েছিলস। জেল থেকে বেরিয়ে সে ফের ডাকাতির ছক কষে। এক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ডের গ্যাংয়ের সে সাহায্য নেয়। তবে, আগের যে গ্যাংয়ের সঙ্গে সানি কাজ করেছিল, বারাকপুরে সেই গ্যাং ছিল, নতুন গ্যাং নিয়ে এসেছিল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাইক করে দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন সোনার দোকানে রেইকি করেছিল। প্রথমে তারা হাওড়ায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতির করার ছক কষে। কিন্তু, কোনও কারণে সেই পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। এরপর সোদপুরের সোনার দোকানে টার্গট করে। পরে, বারাকপুরে (Barrackpore) আসে তারা। বারাকপুরে স্টেশনের কাছে নামী একটি সোনার দোকানে তারা ডাকাতির পরিকল্পনা করে। তবে, নিরাপত্তা জোরদার থাকায় তারা আর ঝুঁকি নেয়নি। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। পরে, তারা ওল্ড ক্যালকাটা রোডের এই সোনার দোকানে তারা ঢুকে ডাকাতির ছক কষেছিল। বাধা পেয়ে তারা এলোপাথারি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। তাতেই নীলাদ্রির মৃত্যু হয়।
খুনের প্রতিবাদে বনধ, প্রতিবাদ মিছিল, সভা করলেন ব্যবসায়ীরা
অন্যদিকে, এদিন সোনার দোকানের মালিকের ছেলেকে খুনের প্রতিবাদে পলতা, বারাকপুর (Barrackpore) জুড়ে সোনার দোকান বনধ করেছেন স্বর্ণ শিল্পীরা। এদিন আনন্দপুরীর হামলা হওয়া সেই সোনার দোকান থেকে স্বর্ণ শিল্পীরা পুলিশ কমিশনারের অফিস পর্যন্ত মিছিল করেন। বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর চন্দ্র পোদ্দার বলেন, অবিলম্বে এই ঘটনায় সব দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করতে হবে। না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। শুধু জেলা নয় রাজ্যজুড়ে আমরা আন্দোলন করব। অন্যদিকে, স্বর্ণশিল্পীদের পাশাপাশি আনন্দপুরী এলাকায় ব্যবসায়ীরা বনধ ডাকেন। হরহল এলাকায় এদিন বিকালে সমস্ত ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন। ব্যবসায়ী রূপম সেন বলেন, প্রকাশ্যে দোকানে ঢুকে খুনের ঘটনা সকলের কাছে আতঙ্কে। আমরা এর প্রতিবাদে সকলেই সামিল হয়েছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours