মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঝলক দেখলে মনে হবে, জঙ্গলে ঘেরা কোনও নালা। আসলে যে এটি একটি আস্ত নদী (River) ছিল, সে কথা বলে না দিলে বোঝা দায়। অভিযোগ, যতটুকুও বা নদী রয়েছে, তার পাড় দখল করে চলছে নির্মাণ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের ব্রাহ্মণী নদী এভাবেই এক বিপন্ন নদীতে পরিণত হয়েছে। অথচ হুঁশ নেই প্রশাসনের।
মুছে যাবে নদীর নাম, আশঙ্কা অনেকেরই
গঙ্গারামপুরের কালীতলায় পুনর্ভবা থেকে একশো মিটার দূরত্বে রয়েছে এই ব্রাহ্মণী নদী। দক্ষিণ দেবীপুরে পুনর্ভবা থেকে শাখানদী রূপে বেরিয়ে এসেছে ব্রাহ্মণী। তারপর নালাগোলার কাছে টাঙনে এসে মিশেছে। স্থানীয়দের দাবি, বছর দশেক আগেও এই নদীতে ভালো জল বইত। পাওয়া যেত মাছ। এলাকার মৎসজীবীরা এই নদী (River) থেকে মাছ তুলে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু এখন আর ব্রাহ্মণীতে জল নেই। শুধু রয়েছে আগাছা ও ঝোপঝাড়। অভিযোগ, এলাকার আবর্জনা ও বর্জ্য নিয়মিত এই নদীতে ফেলে কার্যত পরিকল্পনা মাফিক নদীকে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। আরও অভিযোগ, নদী বুজিয়ে তার পাড় দখল করে তৈরি হচ্ছে বাড়ি, দোকান। অবশিষ্ট যেটুকু নালার মতো রয়েছে, সেখানেও আবর্জনা ফেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, নদীর এমন অবস্থা থাকলে আগামী দিনে ব্রাহ্মণী নদীর নাম মুছে যাবে। পরিবেশকর্মী তুহিনশুভ্র মণ্ডল বলেন, “বিপন্নতম নদীতে পরিণত হয়েছে ব্রাহ্মণী। নদী দখল হয়ে বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে। একটা গোটা নদীকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।" পরিবেশকর্মীদের দাবি, এতে বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে।
কী বলছেন সেচ দফতরের কর্তারা?
সেচ দফতরের দাবি, এই নদীকে (River) সচল করতে তারা সমীক্ষা করেছে। কিন্তু সেই সমীক্ষা ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে উপরমহলে, এমনটাই খবর। সেচ দফতরের সহকারী বাস্তুকার দেবব্রত পাল বলেন, “বছর দেড়েক আগে একটি সমীক্ষা করে আমরা পাঠিয়েছিলাম। সংস্কার করে নদীকে বাঁচানোই ছিল উদ্দেশ্য। সেই সমীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে এখনও কিছু নির্দেশ আমরা পাইনি।”
কী বললেন মহকুমা শাসক?
গঙ্গারামপুরের মহকুমাশাসক পি প্রোমথ বলেন, “ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের দ্রুত এলাকা (River) পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে বলব। কেউ দখল করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours