মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও পাকা রাস্তা (West Bengal Road) হয়নি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঝিকোডাঙা গ্রামে। লাল মাটির রাস্তা, তাও খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘ দুই দশক সংস্কারের অভাবে কার্যত বেহাল দশা। পারো থেকে ঝিকোডাঙা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা গ্রামের মূল প্রবেশ পথ। পার্শ্ববর্তী ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ দৈনন্দিন যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। যানবাহন তো বটেই, বৃষ্টি হলে মানুষের চলাচলের পক্ষেও যা অযোগ্য হয়ে ওঠে। হাসপাতাল যাওয়ার ২ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ১০ কিলোমিটার। আগুন লাগলে গ্রামে আসতে পারছে না দমকলের গাড়ি।
কী বলছেন গ্রামবাসীরা?
এদিকে কিছুদিন আগেই পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কয়েক হাজার বেহাল রাস্তা (West Bengal Road) সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি ঝিকোডাঙা গ্রামের রাস্তার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জির জেলা সফরের আগেই এবার রাস্তার দাবিতে সরব এলাকাবাসী। দ্রুত রাস্তার কাজ না হলে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি। এই গ্রামে এক প্রবীণ বাসিন্দা বললেন, ২০০১ সালে যে রাস্তা তৈরি হয়েছিল, সেটাও লাল মাটির। তারপরে আজ পর্যন্ত একটা ইটও পড়েনি। এমনকী লালমাটিও নয়। যাওয়ার মতো অবস্থাই ছিল না। ক্লাবের ছেলেরা নিজেরা পয়সা খরচ করে গর্তগুলো বুজিয়েছে। এখান থেকে চাঁচল অ্যাম্বুল্যান্সে যেতে হলে তুলসীহাট্টা হয়ে দশ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। অথচ এই রাস্তা ধরে গেলে সেটা মাত্র দু কিলোমিটার। দুপাশের জমিতে চাষবাস হয়। তাই পাট নিয়ে কেউ শহরে যাবে, তার কোনও উপায় নেই। ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজ যেতেও খুবই অসুবিধায় পড়ছে। নেতারা তো ভোট এলে বলে রাস্তা করে দেবো। কিন্তু এরকম যদি অবস্থা হয়, তাহলে আমরা গ্রামবাসীদের ভোট দিতে দেব না।
এখানেও রাজনৈতিক তরজা
এদিকে তৃণমূলের দাবি, কংগ্রেসের পঞ্চায়েত হওয়ায় সেখানে উন্নয়ন হয়নি। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান বিমানবিহারী বসাক সাফাই দিয়েছেন, এনআরজিএস প্রকল্পের টাকা বন্ধ থাকায় রাস্তার (West Bengal Road) কাজ শুরু করা যায়নি। তাই এ নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours