মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয় কংগ্রেস (Congress) । আর তারপর থেকে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কর্মীরা নতুন করে অক্সিজেন পেতে শুরু করেন। সাগরদিঘিতে তৃণমূলের ভরাডুবি নিয়ে শুক্রবারই কালীঘাটের বৈঠকে জেলার দুই সাংসদ আবু তাহের এবং খলিলুর রহমান রোষে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাগরদিঘি ভরাডুবি নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই বৈঠকে দলীয় কোন্দলের বিষয়টি সামনে আসে। প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের বিষয়টি কমিটির সদস্যরা উল্লেখ করেন। তৃণমূল সুপ্রিমো দুই সাংসদকে প্রকাশ্যে বলেন, অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তোমরা যোগাযোগ রাখছ। তাতে চড়ম বিড়ম্বনায় পড়েন দুই সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের মুর্শিদাবাদে তৃণমূলে ভরাডুবি। শনিবার বহরমপুর জেলা কার্যালয়ের সামনে সাংসদ অধীর চৌধুরীর উপস্থিতিতে প্রায় দেড় হাজার তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসে (Congress) যোগদান করেন। কংগ্রেস সাংসদ তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগেই একসঙ্গে দেড় হাজার কর্মী যোগ দেওয়ায় কংগ্রেস (Congress) কর্মীরা চাঙা হয়ে উঠেছেন। সভা মঞ্চেই অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) বলেন, এই জেলায় তৃণমূল বলে আর কিছু থাকবে না। এই তো শুরু। এরপর আরও অনেকেই আমাদের দলে নাম লেখাবেন। চোরেদের দলে কেউ থাকবে না। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগবানগোলা, বেলডাঙা সহ একাধিক ব্লকের তৃণমূল কর্মীরা এদিন কংগ্রেসে (Congress) যোগদান করেন। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেস যোগ দেওয়া এক নেতা আবদুল সালাউদ্দিন বলেন, তৃণমূল দলটা দুর্নীতিগ্রস্ত। এই দলে আর যুব সমাজ কেউ থাকতে চাইছে না। এদিন আমরা কয়েকশো কর্মীকে নিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করলাম। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কিছু করতে পারবে না।
কংগ্রেসের যোগদান নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব? Congress
এমনিতেই কালীঘাটের বৈঠকের পর সাগরদিঘির নির্বাচনের ভরাডুবি নিয়ে ব্যাকফুটে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এরমধ্যে তৃণমূল ছেড়ে প্রায় দেড় হাজার কর্মী কংগ্রেসে (Congress) যোগ দেওয়ায় শাসক দলের নেতা কর্মীরা অনেকটাই হতাশ। যদিও তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহরায় এত সংখ্যক তৃণমূল কর্মী যোগদানের বিষয়টি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, কংগ্রেসের (Congress) ওটা নাটকের মঞ্চ। তৃণমূলের কোন নেতা, কোন পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিয়েছেন তা ওরা কেউ বলতে পারেনি। ফলে, দেড় হাজার কর্মী যোগ দেওয়ার কথা বলছে তা একেবারের ভিত্তিহীন। সবটাই লোক দেখানো।
অন্যদিকে, এদিন কান্দিতে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে সিপিএমের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র আসেন। তিনি বলেন, সাগরদিঘিতে হেরে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বিডিও, রির্টানিং অফিসার, পুলিশ আধিকারিক সবাই বদলি করে দিয়েছেন। আসলে নিচু তলার অফিসাররা আর ওদের কথা শুনছে না। ক্রমশ এই সংখ্যাটা বাড়ছে। আর ওদের দলের মধ্যেই যা অশান্তি হচ্ছে, সেটাই সবার আগে ওরা সামলালে ভালো হয়। পরে, রাজ্যে শান্তি ফেরানোর কথা ভাববে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours