মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যা মামলায় উঠে এল নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ (Recruitment Scam)। গত বছর মুর্শিদাবাদের লালগোলায় এক চাকরিপ্রার্থী আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তাঁর নাম আব্দুর রহমান। পরিবারের অভিযোগ ছিল, টাকা দিয়ে চাকরি না পাওয়ার কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন ওই তরুণ। সেই মামলায় সোমবার কড়া মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এদিন বিচারপতি জানান, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে আব্দুর রহমানের আত্মহত্যার ঘটনার যোগ রয়েছে। অন্যদিকে এই মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি।
কী ঘটেছে?
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। জানা যায়, গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য ছয় লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন আব্দুর রহমান। কিন্তু, ঘুষের টাকা দিয়েও চাকরি না মেলায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। অবশেষে বছর ২৫-এর এই যুবক আত্মঘাতী হন। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোটও। সেই ন'পাতার সুইসাইড নোটে দিবাকর কনুই- এর নাম উল্লেখ থাকলে তাঁকে দোষী হিসেবে ধরা হয়। জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটে আত্মঘাতী ছাত্র লিখে গিয়েছেন, এই দিবাকরই তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবেন। দিবাকরকে ইতিমধ্যেই তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের
বিচারপতি মান্থা কী বললেন?
এদিন আদালতে শুনানি চলার সময় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্ত করছে সিবিআই। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছেন, “লালগোলায় চাকরিপ্রার্থী আব্দুর রহমানের আত্মহত্যা নিয়োগ-দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত। শুধু আত্মহত্যা নয়, আদালত নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়েও চিন্তিত। বৃহত্তর চক্রান্ত খুঁজে বের করার সুযোগ রয়েছে।” সূত্রের খবর, তিনি আরও বলেছেন, “এই মামলায় সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনতে চায় আদালত। এখনও পর্যন্ত পুলিশি তদন্তে কোনও খামতি পাওয়া যায়নি।”
এদিন আব্দুরের আত্মঘাতী হওয়ার মামলায় পুলিশি তদন্তের উপর আস্থা প্রকাশ করেছে আদালত। বিচারপতি মান্থা জানিয়েছেন, মৃত তরুণের পরিবারের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও অবধি লালগোলা থানার পুলিশ যথাযথভাবেই তদন্ত করেছে। তবে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার যেহেতু সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে, সেই কারণে ধৃত দিবাকরকে জেলে গিয়ে জেরা করা উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তিনি বলেন, “সিবিআই কেন জেলে গিয়ে দিবাকরকে জেরা করছে না? বৃহত্তর চক্রান্তের আশঙ্কা ওড়ানো যাচ্ছে না।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বুধবার। ফলে এখন এটাই বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়ে কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে সিবিআই (Recruitment Scam)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours