মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক টেট (Primary Tet) নিয়ে দূর্নীতির তদন্ত এখনও শেষ হয়নি । টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ থেকে, স্বজনপোষণ সহ একাধিক অভিযোগে জর্জরিত রাজ্য সরকার। সিবিআই তদন্তে জেলে রয়েছে প্রায় গোটা শিক্ষা দপ্তর। এই আবহেই নতুন করে টেট নেওয়ার ঘোষণা করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Tet)। পূর্ব ঘোষণা মতো এদিন টেট পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। তবে, টেট নিয়ে বিতর্ক যেন থামছে না। এবার বিবাহিত মহিলাদের শাঁখা-পলা খুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। জানা গিয়েছে, দিনহাটার গোপালনগর এম এস এস হাইস্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা (Primary Tet) দিতে এসে ঢুকতে বাধা পান বিবাহিত মহিলারা। অভিযোগ, পরীক্ষা কেন্দ্রে তাদের বলা হয়, হলের ভিতর কোনও গয়না পরে যাওয়ার অনুমতি নেই। তাই বিবাহের প্রতীকরূপে যে গয়নাগুলি আছে অর্থাৎ শাঁখা-পলা খুলতে হবে নয়তো পরীক্ষায় বসা যাবেনা। দিনহাটার গোপালনগর এম এস এস হাইস্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রে এই ঘটনার প্রতিবাদে পরীক্ষার্থীদের একাংশ রাস্তায় নেমে পড়েন। তাঁরা বলতে থাকেন , "বাড়াবাড়ি করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Tet), শাঁখা পলা হিন্দু ধর্মের পবিত্রতার প্রতীক, স্বামীর মঙ্গল কামনায় প্রত্যেক হিন্দু নারী শাঁখা পলা পরে, সর্বভারতীয় স্তরে ইউপিএসসি পরীক্ষাতেও এমন নির্দেশ নেই, যত কড়াকড়ি প্রাথমিক টেটে, স্বচ্ছতা রাখতে হলে আগে তাদের নিজেদের দূর্নীতি বন্ধ করা উচিত "।
বিজেপির প্রতিক্রিয়া
দিনহাটার গোপালনগর এম এস এস হাইস্কুলের এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতা তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, " এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত, ধর্ম পালনের অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার, ভারতের সংবিধান, এই অধিকার প্রতিটি নাগরিককে দিয়েছে। এভাবে কারও ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করা যায়না। প্রয়োজন হলে , প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ শাঁখাপলা গুলি ভালো মত যাচাই করে নিতে পারত।" দীপকবাবু আরও জানান, " প্রয়োজন হলে স্থানীয়ভাবে আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব"। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট করেছেন।
+ There are no comments
Add yours