মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে গত শনিবার। ৭ দফায় ভোট হবে দেশজুড়ে। ইতিমধ্যে প্রথম দফার ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশও হয়ে গিয়েছে। এই আবহে নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) নিয়োগ আইনের উপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট।
দেশে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ তিন সদস্য-বিশিষ্ট। তাতে থাকেন একজন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং বাকি দুই জন নির্বাচন কমিশনার। কিন্তু গত মাসে আচমকা নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে ইস্তফা দেন অরুণ গোয়েল। অন্যদিকে, অরুণ গোয়েলের ইস্তফা দেওয়ার কয়েক দিন আগেই অবসর নেন অন্য এক নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) অনুপ পাণ্ডে। তার ফলে নির্বাচন কমিশনারের দুটো পদই শূন্য হয়ে যায়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গত ১৪ মার্চ নির্বাচন কমিশনারের দুটি শূন্য পদে, দুই আমলাকে নিয়োগ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কমিটি।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দায়ের হয় মামলা
নির্বাচন কমিশনারের পদে আনা হয় সুখবীর সিং সান্ধু এবং জ্ঞানেশ কুমারকে। এই নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) নিয়োগ নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দায়ের হয় মামলা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সমেত বাকি দুই নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের ক্ষেত্রে যে আইন রয়েছে সেই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, সামনে নির্বাচন রয়েছে। এমন সময় এই আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা ঠিক নয়। আর যাঁদের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগও নেই।
নিয়োগ কমিটি
সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, নবনিযুক্ত দুই নির্বাচন কমিশনারকে তাঁদের পদ থেকে সরানোর কোনও কারণ আদালত দেখছে না। সুপ্রিম কোর্ট এ দিন আরও জানিয়েছে, ভোটের মুখে কমিশনারদের (Election Commission) সরিয়ে দিলে তার প্রভাব নির্বাচনে পড়বে। প্রসঙ্গত, নয়া আইনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে তাতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (চেয়ারপার্সন) একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (মেম্বার) এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা (মেম্বার)। আগের আইনে দেশের প্রধান বিচারপতিও থাকতেন। বর্তমান আইনে সেটা নেই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours