মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার নিমতায় জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার ভবানীপুরের বাসিন্দা এক ওষুধ ব্যবসায়ীর দেহ। তাঁকে খুন (Murder Case) করে জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে রেখে ইট গাঁথা হচ্ছিল। আর এই দৃশ্য দেখে ফেলেন এলাকার এক ব্যক্তি। এরপর নিমতা থানায় খবর দিলে পুলিশ তদন্তে নামে। হাজার চেষ্টা করেও ধামাচাপা দেওয়া গেল না। প্রতিবেশীদের তৎপরতায় উঠে এল খুনের ঘটনার চিত্র। পুলিশ তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে দেহ উদ্ধার করেছে এবং ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে অনির্বাণ গুপ্তা, সুমন দাস নামে দু'জন। এলাকায় তীব্র শোরগোল পড়েছে।
কীভাবে করা হল খুন (Murder Case)?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ মার্চ ভবানীপুরের বাসিন্দা ভব্য লাখানিয়া তাঁর সহযোগী ব্যবসায়ী নিমতার বাসিন্দা অনির্বাণ গুপ্তার সঙ্গে দেখা করতে নিমতারই প্রমোদ মিত্র লেনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথাবার্তা চলার সময় বিবাদ হয়। এরপর আচমকাই অনির্বাণ, ভব্য লাখানিয়ার ওপর হামলা চালায়। একটি উইকেট দিয়ে মাথায় বাড়ি মারে ভব্যের। সেই ঘটনাতেই মৃত্যু (Murder Case) হয় ভব্য লাখানিয়া নামে ওই ব্যবসায়ীর। এরপরে তাঁর দেহ লোপাট করতে মৃতদেহকে বস্তায় বন্দি করে বাড়ির জলের ট্যাঙ্কের নীচে দেহ লুকিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেই সেখানে দেওয়াল তুলে প্লাস্টার করা হচ্ছিল বলে জানা যায়।
জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার দেহ
এদিকে ভব্য লাখানিয়া বাড়ি না ফেরায় তাঁর পরিবারের তরফ থেকে ভবানীপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। অপরে নিমতা থানার পুলিশ তদন্ত নেমে পুলিশ অনির্বাণ গুপ্তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর জেরায় সে স্বীকার করে নেয় খুন (Murder Case) করেছে। তার কাছে নিমতার প্রমোদ মিত্র লেনের ঠিকানা পায় পুলিশ। সেখানে হানা দিয়ে জলের ট্যাঙ্ক নীচে থেকে ভব্য লাখানিয়ার দেহ উদ্ধার করে। পাশাপাশি খুনে ব্যবহৃত উইকেট উদ্ধার করা হয়। এর সাথেই বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের কাছ থেকে রক্ত মাখা জামা সহ বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ। সেগুলো সব ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ভব্য লাখানিয়ার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours