Mega Copper Plant: আদানির হাত ধরে বিশ্বের বৃহত্তম তাম্র উৎপাদন কেন্দ্র চালু হচ্ছে গুজরাটে

বিশ্বের বৃহত্তম তামা উৎপাদন কেন্দ্র চালু হচ্ছে ভারতে...
Untitled_design(472)
Untitled_design(472)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামা আমদানিতে ভারতের অন্য দেশের উপর নির্ভরশীলতা এবার কমতে চলেছে। জানা গিয়েছে, গৌতম আদানির সংস্থা তৈরি করছে পৃথিবীর সবথেকে বৃহত্তম তাম্র উৎপাদন প্ল্যান্ট (Mega Copper Plant)। যা গুজরাটের মুন্দ্রাতে তৈরি হবে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পে খরচ হবে প্রায় ১২০ কোটি মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার কোটি)। গোটা প্রকল্পটি পরিচালন করবে আদানি গোষ্ঠীর অধিনস্থ সংস্থা 'কচ্ছ কপার লিমিটেড'। প্রসঙ্গত এটি হলো আদানি গ্রুপেরই একটি শাখা। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, আদানি গ্রুপের এই তাম্র উৎপাদন কেন্দ্র চালু হলে ভারতবর্ষে তামার বিপ্লব হবে। তামার উৎপাদনে ভারতবর্ষ পৃথিবীতে প্রথম সারিতে চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তামার ব্যবহার বেড়েই চলেছে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তামার। বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন অথবা যে কোনও চার্জিং ব্যবস্থাতেও তামা প্রায় অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ব্যাটারিতেও তামা (Mega Copper Plant) ব্যবহৃত হয়।

১০ লাখ টন তামা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

'কচ্ছ কপার লিমিটেড' তামার শোধন প্রকল্পেরও কাজ করছে। লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে প্রতিবছর ১০ লাখ টন তামা উৎপাদনের। প্রথম দফায় যেখানে প্রতিবছরে ৫ লাখ টন তামা উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, মার্চ ২০২৪ এর মধ্যেই। প্রসঙ্গত, শক্তি সম্পদ, লজিস্টিক, পুনর্নবীকরণ শক্তি, পরিকাঠামো নির্মাণ এ সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যবসা করে আদানি। এবার তামার ক্ষেত্রেও তারা ঢুকে পড়ল। প্রসঙ্গত ভারতের অভ্যন্তরীণ তামার (Mega Copper Plant) যা চাহিদা তার তুলনায় যোগান অত্যন্ত কম বলেই মনে করা হয়। বিগত পাঁচ বছর ধরেই তামার আমদানি করতে হয়েছে ভারতকে। ১ লক্ষ ৮১ হাজার টন তামা আমদানি করতে হয়েছে অন্যান্য দেশ থেকে।

তাম্র শিল্পে নয়া জোয়ার

আদানি গ্রুপের এই তামার প্ল্যান্টের উৎপাদন শুরু হলে বিশ্বের বাণিজ্যে তার প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে চাহিদা এবং যোগানের ভারসাম্যটাও রক্ষা হবে। ভারতবর্ষের পশ্চিমে সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলকে বেছে নেওয়ার কারণ হল সেখান থেকেই ভারতবর্ষের অভ্যন্তরীণ বাজার এবং আন্তর্জাতিক বাজারেও পৌঁছাবে আদানি গ্রুপের উৎপাদিত তামা। বিশেষজ্ঞদের মতে, আদানি গ্রুপের এই তামার উৎপাদন কেন্দ্র অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি মাইলফলক, ভারতবর্ষের আত্মনির্ভরতার ক্ষেত্রে এবং শক্তি সম্পদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে। তাম্রশিল্পে ভারতবর্ষ আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এবং দেশের অর্থনীতিও মজবুত হবে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles