মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গড়িয়া স্টেশন এলাকার একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে একই পরিবারের তিন জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃত্যু হয়েছে স্বপন মৈত্র (৭৫), অপর্ণা মৈত্র (৬৯) ও তাঁদের ছেলে সুমন রাজ মৈত্রর (৩৯)। তিনজনেই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান পুলিশের। কিন্তু, কেন আচমকা বাড়ির সবাই একযোগে আত্মহত্যা করতে গেলেন তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। মৃত্যুর পিছনে আর অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দাদের।
কী বলছেন বাসিন্দারা
নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলের একটি আবাসনে, তিন জনের পচা-গলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরাই প্রথমে পুলিশে খবর দেন। পরে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে দেহগুলি উদ্ধার করে। পাশের ফ্ল্যাটের এক মহিলা বলেন, "এক জন বয়স্ক মানুষ, তাঁর স্ত্রী এবং কমবয়সি ছেলে থাকতেন। আমার বাড়ি গঙ্গাসাগর। শনিবার আমি এখানে এসেছি। তখন থেকেই দরজাটা বন্ধ। গত পরশু থেকে গন্ধটা পাওয়া যাচ্ছে। মনে করেছিলাম, ইদুঁর মরেছে বোধ হয়। এত গন্ধ। তার পরে আমার মেয়েও বলছে কোথা থেকে গন্ধটা আসছে! আমরা শনিবার থেকে এসেই ওঁদের দেখতে পাইনি।"
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে পারদ মাইনাস ৫ ডিগ্রির নীচে! তাপমাত্রা কমল কলকাতাতেও
মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
ঘটনার আকস্মিকতায় শোকে পাথর অপর্ণা মৈত্রের ভাই দেবাশিস ঘোষ। তিনি বলেন, “আমার দিদি জামাইবাবু ২ জনেই অসুস্থ ছিলেন। জামাইবাবুর কয়েক বছর আগে বাইপাস সার্জারিও হয়। তারপর থেকে শরীরটা বিশেষ ভাল ছিল না। ওদেরকে দেখার জন্যই আমার ভাগ্নে পুরোপুরি বাড়িতে থাকত। আমি তো শেষ ২৮ তারিখ এসেছিলাম। তখনও কিছু বুঝিনি। কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। নিজের হাতে কেক বানিয়ে খাইয়েছিল আমার ভাগ্নে। আজ খবর পেয়ে এসে দেখি এই ঘটনা। কেন করল, কী করল কিছুই বুঝতে পারছি না।” পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত স্বপন মৈত্র পেশায় ইঞ্জিনিয়র ছিলেন। স্থানীয়দের দাবি, গত তিন দিন ধরে স্বপন মৈত্র বা তাঁর পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি। এদিন আবাসনের তিনটি আলাদা জায়গায় তিন জনের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে এখনও পর্যন্ত সেখান থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। ফলে কী কারণে মৃত্যু তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours