মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় বিজেপি বিধায়কদের স্বস্তি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপি বিধায়কদের 'গ্রেফতার নয়'। এমনই মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ফলে, আরও একটি মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য। এদিন উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করা যায় না।
তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, গত ২৯ তারিখ বিধানসভায় অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে তাঁরা যখন জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলেন, তখন নাকি বিজেপি বিধায়করা না দাঁড়িয়ে ঘাসফুল শিবিরকে চোর চোর স্লোগান দিতে থাকে! যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যেখানে সেখানে, যে কোনও জায়গায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যায় না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজ্যের শাসক দল এফআইআর-ও দায়ের করে পুলিশের কাছে। সেইমতো বেশ কয়েকজন বিধায়ককে তলব করে লালবাজার। পুলিশি তলবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাল্টা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে দায়ের হয় মামলা। সেখানেই আদালত এই মামলায় বিজেপিকে স্বস্তি দিয়েছে ৷ বিধায়কদের গ্রেফতার না করার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷
ঠিক কী অভিযোগ বিজেপির
গত ২৯ তারিখ ধর্মতলার সভায় বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই দিনই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে কালো পোশাক পরে বিধানসভা চত্বরে অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসে তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন সময় পাল্টা প্রতিবাদ জানাতে সেখান থেকে বেশ খানিকটা দূরে হাজির হন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় হঠাৎ তৃণমূল জাতীয় সঙ্গীত শুরু করে।
নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা?
বিজেপির অভিযোগ, জাতীয় সঙ্গীত কোথায় বাজছিল বা ওই বিধায়করা তখন কোথায় ছিলেন— এ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হয়নি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে চরিতার্থ করতে (Calcutta High Court) এবং বিজেপি বিধায়কদের হেনস্থা করতেই এই জাতীয় এফআইআর দায়ের করেছে শাসক। বিজেপির দাবি, সেদিনই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ তুলে বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দেয় তৃণমূলের পরিষদীয় দল। এর পর বিধানসভায় এসে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন ডিসি সেন্ট্রাল দীনেশ কুমার। তার পর ১১ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। সেই ইস্যুতেই এ বার আদালতের দ্বারস্থ হয় পদ্মশিবির।
কী জানাল আদালত?
বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা বিষয়ক এই মামলাটি ওঠে। সেখানে বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, ‘‘হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করা যায় না। এখানে যদি এখন কেউ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন, তা হলে তো সব কাজ বন্ধ করে সবাইকে দাঁড়িয়ে পড়তে হবে। এমনটা করা যায় নাকি! অবশ্যই জাতীয় সঙ্গীতের জন্য একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা উচিত।’’ বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এমন নয় যে, যখন তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রীরা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শুরু করেন, তখন থেকে বিজেপি বিধায়কেরাও স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁরা বিধানসভায় আগে থেকেই স্লোগান দিচ্ছিলেন। ফলে জাতীয় সঙ্গীতের জন্য নিয়ম মানা দরকার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours