মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Primary Recruitment Case) সিবিআই রিপোর্ট দেখে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সেই রিপোর্ট দেখে বিচারপতির দাবি, এই দুর্নীতি প্রসঙ্গে পূর্ণ রাজনীতিক, আধা রাজনীতিক, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সবাই সব জানতেন। পরিকল্পনা করে ধীরে ধীরে এই দুর্নীতির জাল বোনা হয়েছে।
কী বললেন বিচারপতি
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, "সিবিআই রিপোর্টে এমন কিছু আছে যা এই মুহূর্তে সবার সামনে আনা সম্ভব নয়! সবটাই নাকের নীচে হয়েছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই রাজ্যে কোনও ' ফুল বা বোকা ' আছে! রাজ্যের গোয়েন্দারা জানতেন না, এমনটা হতে পারে না! এটা যেন আরেকটা সারদা মামলা না হয়।" এই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভিকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এদিন নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। এও বলেন যে, ইডির সঙ্গে সমন্বয় রেখে পদক্ষেপ নেবে সিবিআই।
আরও পড়ুন: বালুর পর এবার মলয়, সিবিআই রেডারে আইনমন্ত্রীই! পাঁচ অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব
দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ
বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভি জানান, দ্বিতীয় চার্জশিট তৈরি করা হবে শীঘ্রই। তখনই বিচারপতি ইডির প্রসঙ্গ টেনে আনেন। জানান, ইডির সঙ্গে খুব বেশি যোগাযোগ রাখেনি সিবিআই। তাই চার্জশিটে প্রাথমিক মামলার (Primary Recruitment Case) সব অভিযুক্তের নাম নেই। অবিলম্বে ইডির সঙ্গে সিবিআইকে যোগাযোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সিবিআই-এর উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, "অনেক অভিযুক্তর নাম চার্জশিটে নেই, ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। আরো অনেক তথ্য পাবেন। বিশাল অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে। দ্রুত চার্জ গঠন করে নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করুন।" আগামী ২১ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। প্রসঙ্গত, এদিনই অন্য একটি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours