Sam Altman: সরানো হল চ্যাটজিপিটির ‘স্রষ্টা’কে, ওপেনএআইয়ের সিইও পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত

তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করতে পারেননি...
sam_f
sam_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই কৃত্রিম মেধা চ্যাটজিপিটির অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কাকতালীয়ভাবে তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওপেনএআইয়ের সিইও পদ থেকে সরানো হল কৃত্রিম মেধা চ্যাটজিপিটির ‘স্রষ্টা’ স্যাম অল্টম্যানকে (Sam Altman)। শুক্রবারই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, স্যামের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতার ওপর আস্থা হারানোর কারণেই তাঁকে ছাঁটাই করা হল।

সিইও পদে ভারতীয় বংসোদ্ভূত

আপাতত ওই পদে বসানো হয়েছে সংস্থারই পদস্থ কর্তা ভারতীয় বংশোদ্ভূত মিরা মুরাটিকে। অচিরেই নিয়োগ করা হবে স্থায়ী সিইও। সংস্থার তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অল্টম্যানকে নিয়ে অনেক পর্যালোচনার পর সংস্থার বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অল্টম্যান বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে যোগাযোগ রাখেননি। এটি তাঁর দায়িত্ব ছিল। কিন্তু তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। স্যাম যে ওপেনএআইয়ের নেতৃত্ব দিতে পারবেন, সে বিষয়ে তাঁর ওপর আস্থা হারিয়েছে বোর্ড।

স্যামের ট্যুইট-বার্তা 

সিইও-র পদ খুইয়ে এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে স্যাম লেখেন, “ওপেনএআইয়ে আমি যে সময় কাটিয়েছি, তা ভাল ছিল। ব্যক্তিগতভাবে আমার জীবনে এই সিদ্ধান্ত অনেক বদল আনবে। আশা করি, বিশ্বেরও কিছুটা পরিবর্তন হবে। ওপেনএআইয়ে আমার সব থেকে বেশি ভাল লেগেছে প্রতিভাবান মানুষদের সঙ্গে কাজ করতে। পরবর্তীকালে আমি কী করব, তা নিয়ে পরে বলব।” প্রসঙ্গত, গত বছর চ্যাটজিপিটি মুক্তি পাওয়ার পরেই জগদ্বিখ্যাত হয়ে যান বছর আটত্রিশের স্যাম (Sam Altman)। মাত্র ১৯ বছরেই লুপ্ট নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছিলেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রপআউট স্যাম।

২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন রেডিটের সিইও। ২০১৫ সালে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক, লিঙ্কডইনের সহ প্রতিষ্ঠাতা রিড হফম্যান এবং আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনএআই নামে কৃত্রিম মেধা গবেষণা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। বাইশের নভেম্বরে চ্যাটজিপিটি আত্মপ্রকাশ করার পর স্যামই ছিলেন এর মুখ। তিনি দাবি করেছিলেন, কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করে মানব জাতির উপকার করা এই সংস্থার মূল লক্ষ্য।

আরও পড়ুুন: মমতার সভার জন্য বাস দিয়ে ন’মাসেও মেলেনি টাকা! ক্ষুব্ধ বাস মালিকরা

চ্যাটজিপিটি আত্মপ্রকাশ করার পরেই উদ্বেগ ছড়িয়েছিল তামাম বিশ্বে। কৃত্রিম মেধার কারণে চাকরি হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। ডিপফেক ছবি এবং ভিডিও-ও প্রকাশ্যে আসায় শুরু হয় বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গরবা নাচছেন বলেও একটি ডিপফেক ভাইরাল হয় (Sam Altman)।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles