Myanmar: শরণার্থীর ভিড়ে মিশে দেশে ঢুকছেন মায়ানমারের সেনাকর্মী, মাথাব্যথা বাড়ছে ভারতের

ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে হাজার পাঁচেক মায়ানমারবাসী...
Myanmar_f
Myanmar_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মায়ানমার সীমান্তে চলছে ঘোর যুদ্ধ। ভয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে ঢুকে পড়ছে মায়ানমারবাসী। পিঠ বাঁচাতে জনতার ভিড়ে মিশে গিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ছে মায়ানমারের (Myanmar) সেনারাও। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে হাজার পাঁচেক মায়ানমারবাসী। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সেনাকর্মীও রয়েছেন। ভারতে ঢোকার জন্য মিজোরাম সীমান্তে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন বহু শরণার্থী।

জুন্টা সেনার বিরুদ্ধে লড়ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী

বছর কয়েক আগে অং সান সু চি-র দলকে সরিয়ে মায়ানমারের রাশ হাতে নেয় সেনা পরিচালিত জুন্টা সরকার। সম্প্রতি জুন্টা সেনার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তার পর থেকেই চলছে দু’ পক্ষে তুমুল সংঘর্ষ। মণিপুর, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ড এই তিন রাজ্যের সীমানা লাগোয়া ভারত-মায়ানমার সীমান্ত রয়েছে দেড় হাজার কিলোমিটারের কাছাকাছি। এই অঞ্চলে দেড়শোরও বেশি জনগোষ্ঠীর বাস। ভারতে ঢুকে এদের ভিড়েই মিশে যাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা (Myanmar)। দিন কয়েক আগে এ দেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন মায়ানমারের ৩৯ জন সেনাকর্মীও। রবিবার ঢুকে পড়েছে আরও পাঁচজন। এঁদের শনাক্ত করে মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

ভারতের শিরঃপীড়ার কারণ 

পড়শি দেশের এই গৃহযুদ্ধই শিরঃপীড়ার কারণ হচ্ছে ভারতের। তাই ‘মিশন মায়ানমার’ হাতে নিয়েছে নয়াদিল্লি। এর লক্ষ্য হল, মায়ানমার সীমান্তবর্তী ভারতের গ্রামগুলির বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং মায়ানমারের দুর্গতদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। মায়ানমারের পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায়, সেই চেষ্টাও করছে নয়াদিল্লি। সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

আরও পড়ুুন: গাজায় প্রবীণ হামাস নেতার বাড়িতে হানা ইজরায়েলের, কোথায় গেলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী?

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “আমরা মায়ানমারে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাচ্ছি। ভারত-মায়ানমার সীমান্তে মিজোরামের জোখাওথারের উল্টো দিকে, মায়ানমারের চিন প্রদেশের রিখাওদার এলাকায় তীব্র লড়াইয়ের ফলে, মায়ানমারের নাগরিকরা ভারতে পালিয়ে আসছেন। আমাদের সীমান্তের কাছাকাছি এই ধরনের ঘটনা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” তিনি বলেন, “মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের অবস্থান খুব স্পষ্ট। হিংসা বন্ধ হোক, এটাই চায় ভারত। আমরা চাই গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতির সমাধান হোক।” বাগচি বলেন, “মানবিক কারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেশী রাজ্যের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের সেখানে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। যারা মায়ানমারে (Myanmar) ফিরে যেতে ইচ্ছুক, আমরা তাদের ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থাও করে দিয়েছি।”

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles