Duttapukur: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারবারে টাকা ঢালত মোহিত, বিস্ফোরণের পর থেকে ফেরার

দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে নাম উঠে এল মোহিতের, কে এই ব্যক্তি?
Duttapukur_(4)
Duttapukur_(4)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুর (Duttapukur) বিস্ফোরণে নিহত কেরামত আলি, সামসুল আলিদের বাজি কারবার কয়েক বছরের মধ্যেই ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। এই কারবারে আব্দুল মোহিত ওরফে মহম্মদ আলির নাম উঠে আসছে। বেআইনি কারবারে তিনি কিংপিনও বলা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে অবশ্য খোঁজ নেই এই মোহিতের।

কে এই আব্দুল মোহিত?

২৭ অগাস্ট রবিবার সকালে দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোলে ভয়াবহ বিস্ফোরণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই সপরিবার গা-ঢাকা দেন মোহিত। কেরামত, সামসুলের বেআইনি বাজি সাম্রাজ্যে মূলত টাকা ঢালতেন তিনি। সেখান থেকে বছরে তিনি বিরাট অঙ্কের টাকা মুনাফাও করতেন, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। এক সময় মোচপোল গ্রামের আশপাশের ইটভাটায় মাটি সরবরাহের কাজ করতেন এই আব্দুল মোহিত। ধীরে ধীরে এলাকার একজন মাটি ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন তিনি। পরে তিনি জমির দালালি মারফত কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেন। হাতে কাঁচা টাকা আসায় প্রোমোটিংয়ের কাজও শুরু করেছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়-সহ আরও কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার পর থেকেই জগন্নাথপুর, মোচপোল গ্রামের আশপাশে জমির দর একলাফে কয়েক গুণ বাড়তে শুরু করে। এলাকা সূত্রে জানা যায়, সেই সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের আশপাশের অধিকাংশ জমিরই লেনদেন হয়েছিল এই আব্দুল মোহিতের হাত ধরে। বাম আমলে তিনি সিপিএম ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তখন মাটি এবং জমির কারবার করতেন। পরে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই মোহিত তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর তিনি শাসক ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।

কেন বাজি কারবার শুরু করেন মোহিত?

আরও বেশি টাকা মুনাফার আশায় দত্তপুকুরে (Duttapukur) বাজির কারবারে সরাসরি টাকা লেনদেন করতে শুরু করেন মোহিত। মোচপোলে যে বাড়িটিতে বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় একাধিক দেহ, সেই বাড়িতে মজুত বাজি কারবারে টাকা ঢেলেছিলেন এই মোহিত, এমনই শোনা যায় এলাকাবাসীর মুখ থেকে। এভাবেই তিনি এলাকার বাজি কারবারের মাস্টারমাইন্ড হয়ে উঠেছিলেন। বিস্ফোরণের পর এক পরিত্যক্ত ইটভাটাতেই হদিশ মেলে। সেই ইটভাটার মধ্যে গিয়ে দেখা যায় অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরির, যা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। একইভাবে মোচপোল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে জামতাগড়ে রাস্তার ধারে আব্দুল মোহিতের প্রোমোটিং করা ফ্ল্যাট ঘিরেও রয়েছে নানা বিতর্ক। তিন বছর আগে এই ফ্ল্যাটটি তৈরি করেই প্রোমোটিংয়ে হাতেখড়ি হয় মোহিতের। পাশাপাশি আরো জানা যায়, বেশ কয়েকটি জমিও তিনি নিয়েছিলেন প্রমোটিং করবেন বলে। সঙ্গে জোরকদমে চলে বেআইনি বাজির কারবার। আর তৃণমূলের নেতাদের হাত থাকায় বেআইনি বাজি কারবারে সব জেনেও পুলিশ তাঁর সাম্রাজ্যে পা দিত না। মোটা টাকা দিয়ে পুলিশের মুখ বন্ধ করে রাখতেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

এলাকাবাসীদের বক্তব্য, তৃণমূল আমল থেকেই মোহিতের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীর সঙ্গে ওঠাবসা ছিল তাঁর। যদিও বিপদে পড়ে এখন সেই অভিযোগ অস্বীকার করছে শাসকদল। এমনকী বাজি বিস্ফোরণের ক'দিন আগেও জামতাগড়ের ফ্ল্যাটে মোহিতকে দেখা গিয়েছিল, এমনই জানিয়েছেন ওই ফ্ল্যাটের আবাসিকরা। সব মিলিয়ে এখন পুলিশের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ এই বাজি বিস্ফোরণের কিংপিং মোহিতকে খুঁজে বার করা।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles