Chandrayaan-3: চাঁদে নামার পর ৮ মিটার গড়ালো প্রজ্ঞানের চাকা! আপডেট দিল ইসরো

প্রজ্ঞানের চাঁদে অবতরণের ঐতিহাসিক ভিডিয়ো এল ইসরোয়
VIKRAM-PRAGYAN
VIKRAM-PRAGYAN

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের পৃষ্ঠে গুটি গুটি পায়ে হাঁটছে রোভার 'প্রজ্ঞান'। চাঁদের অচেনা দিকগুলিকে চিনতে চেষ্টা চালাচ্ছে সে। এখনও পর্যন্ত চাঁদের বুকে হাঁটাহাঁটি করে কতটা পথ অতিক্রম করল চন্দ্রযান-৩, সে সম্বন্ধে আপডেট দিল ইসরো। ইসরোর তরফে ট্যুইটে জানানো হয়েছে, পরিকল্পনা মাফিকই এগোচ্ছে রোভারের কার্যকলাপ। রোভারটি সফলভাবে প্রায় ৮ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। 

কীভাবে নামল প্রজ্ঞান

ল্যান্ডার থেকে রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan) নেমেছে একটি ব়্যাম্পের সাহায্যে। মেট্রো স্টেশনে, কোনও শপিং মলে অনেকটা এমন ধরনের ব়্যাম্প আমরা দেখতে পাই। প্রায় ওই রকমই দেখতে কিন্তু আরও আধুনিক এবং সূক্ষ প্রযুক্তি নির্ভর ব়্যাম্প (Ramp) ব্যবহার হয়েছে রোভারটিকে নামাতে। ওই ব়্যাম্পটি ২টি সেগমেন্টের,আগে সেটি ল্যান্ডার বিক্রম থেকে নেমে চাঁদের মাটি ছোঁয়। তারপর সেটা বেয়ে নেমে আসে রোভার প্রজ্ঞান। তারপরেই একটি সোলার প্যানেল খুলে যায়, এটি লাগানো রয়েছে রোভার প্রজ্ঞানের গায়ে। এই সোলার প্যানেলের মাধ্যমেই শক্তি জোগাড় করবে প্রজ্ঞান। তারপরেই ধীরে ধীরে চাঁদের মাটিতে চাকা গড়ায় প্রজ্ঞানের। 

আরও পড়ুন: দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী গেলেন ইসরোয়! বিক্রমের অবতরণ ক্ষেত্রের নাম দিলেন ‘শিবশক্তি’

কতটা পথ অতিক্রম

ইতিমধ্যেই চাঁদের পাথুরে মাটিতে ৮ মিটার পথ অতিক্রমও করে ফেলেছে রোভার প্রজ্ঞান। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই খবর জানাল ইসরো। প্রজ্ঞানের এই হাঁটা সাধারণ হাঁটা নয়, হাঁটার পাশাপাশি খুঁটিয়ে দেখা চাঁদের মাটির বৈশিষ্ট্য। খতিয়ে দেখা পৃথিবীর উপগ্রহের ভূপ্রকৃতিও। সেই ইঙ্গিত মিলেছে ইসরোর বার্তাতেও। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ‘এলআইবিএস’ এবং ‘এপিএক্সএস’— প্রজ্ঞানের ভিতরে দু’টি পে-লোড চালু হয়ে গিয়েছে। প্রজ্ঞান তো হেঁটে বেড়াবে চাঁদের মাটিতে, তা হলে পে-লোডের কাজ কী? বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ‘এপিএক্সএস’ বা ‘আলফা পার্টিকল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার’, যার কাজ হল চাঁদের মাটির রাসায়নিক গঠন এবং মাটির নীচে লুকিয়ে থাকা খনিজ ভান্ডারের গঠনের বিজ্ঞানসম্মত অনুমান। আপাতত সেই কাজও করতে শুরু দিয়েছে এপিএক্সএস। এপিএক্সএস ছাড়াও আরও একটি পে-লোড কাজ করছে। তা হল, ‘এলআইবিএস’ বা ‘লেসার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ’। এই পে-লোডটি চাঁদের মাটি এবং শিলার মৌলিক গঠন অর্থাৎ ম্যাগনেশিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, টাইটেনিয়াম প্রভূতি রাসায়নিক কী রূপে মিশে রয়েছে, তা নিরুপণ করবে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles