S Jaishankar: কম্বোডিয়ার অঙ্করভাট বিষ্ণু মন্দিরের সংস্কারে আর্থিক সাহায্য করবে ভারত, বললেন জয়শঙ্কর

কাশীর আলোচনা সভায় প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার কথা তুলে ধরেন এস জয়শঙ্কর।
1094577-s-jaishankar-unsc
1094577-s-jaishankar-unsc

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্বোডিয়ার ঐতিহ্যশালী অঙ্করভাট বিষ্ণু মন্দির সংস্কারে আর্থিক সাহায্য করবে ভারত। রবিবার এমনটাই জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। উত্তরপ্রদেশে গিয়ে কাশীতে তামিল সঙ্গম আয়োজিত 'সমাজ ও জাতি গঠনে মন্দিরের ভূমিকা' শীর্ষক অনুষ্ঠানে একথা ঘোষণা করেছেন তিনি। 

কী বলেন বিদেশমন্ত্রী? 

তিনি বলেন, "শুধু একটি দেশেই সীমাবদ্ধ নয় ভারতীয় সভ্যতা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে রয়েছে নিদর্শন।"অঙ্করভাট মন্দির প্রসঙ্গ তুলে এদিন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, "উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিশ্বের বৃহত্তম মন্দির পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। বর্তমানে আমরা সেই মন্দিরের সংস্কারে আর্থিক সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ ভারতীয় সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারের প্রয়োজন রয়েছে। সরকার সেই লক্ষ্যে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"  

আরও পড়ুন: ছাত্রী সেজে কলেজ- র‍্যাগিং- এর পর্দাফাঁস মহিলা পুলিশ অফিসারের

কাশীর আলোচনা সভায় প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার কথা তুলে ধরেন এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তাঁর কথায়, “মন্দির কিন্তু শুধু ভারত বা এই উপমহাদেশে রয়েছে, এটা ভাবলে ভুল হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভারতীয় মন্দির ছড়িয়ে রয়েছে। তাই আমরা যখন ভারতীয় সভ্যতার পুনরুদ্ধারে নেমেছি, তখন কিন্তু সেটা শুধু দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। আমাদের বিশ্বজুড়ে কাজ করতে হবে। যে দেশগুলিতে ভারতীয় সভ্যতা ছড়িয়ে পড়েছিল সেখানেই শুধু তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা হবে এমনটা নয়। আমাদের দেশের মানুষরা বিশ্বের যেখানে যেখানে গিয়েছেন, সেখানেও ভারতীয় সভ্যতাকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।”   

এদিনে চিনে রাষ্ট্রদূত থাকার সময়কার অভিজ্ঞতাও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। তিনি বলেন, “আপনারা তো অনেকেই জানেন আমি চিনে রাষ্ট্রদূত ছিলাম। চিনের পূর্ব প্রান্তে বহু হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখেছি আমি।” অযোধ্যা ও কোরিয়ার মধ্যে বিশেষ সম্পর্কের কথাও এদিন উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, "কোরিয়ার বাসিন্দারা অযোধ্যার উন্নয়নে আগ্রহী।"  

বাহারিনের শ্রীনাথ মন্দিরের কথাও এদিন উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বলেন, “বিদেশের এই মন্দিরগুলির প্রতিষ্ঠাতা ভারতীয়রাই। এটা আমাদের কাছে গর্বের বিষয়। আমরা সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে একটি মন্দির তৈরি করেছি। বাহারিনেও মন্দির তৈরির অনুমতি পেয়েছি আমরা। এছাড়া ভিয়েতনামেও ভারত অনেক কাজ করছে। এই  কাজগুলির মধ্যে দিয়ে ভারতীয় মূল্যবোধ ও দর্শনকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।"

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles