MonkeyPox: মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের নাম বদলের ভাবনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, কেন জানেন?

নতুন নামকরণ নিয়ে অবশেষে ভাবনা শুরু করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
মাঙ্কি_পক্স
মাঙ্কি_পক্স

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইরাস জগতে অন্যান্য ভাইরাসের মত নামকরণ হয়নি তার। নামের কারণে নাকি অনেকেই টিকা নিতে চাইছেন না। তাই নাম বদলের দাবিতে আগে থেকেই সরব হয়েছিল বিভিন্ন মহল। এবার একই দাবিতে মাঠে নেমেছে বাইডেন প্রশাসনও। মাঙ্কিপক্সের (MonkeyPox) নামকরণ নিয়ে অবশেষে ভাবনা শুরু করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।  ‌

 আমেরিকার চাপ

মাঙ্কিপক্স (MonkeyPox) ভাইরাসের নাম বদলের পথে হাঁটতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনের দাবি, এই নাম নিয়ে সামাজিক বিতর্ক এড়ানোর জন্য বাইডেন প্রশাসন সক্রিয়। সূত্রের খবর, আমেরিকার তরফে হু-এর উপর চাপও তৈরি করা হচ্ছে ভাইরাসের নাম বদল নিয়ে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাস নাগাদ এই ভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। কিছুদিনের মধ্যেই ‘হু’-এর তরফে বিশ্বজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়। ভারতেও এই রোগের (MonkeyPox) হদিশ মিলেছিল কিছুদিনের মধ্যে। অগাস্ট মাস নাগাদ এই ভাইরাসের নাম নিয়ে বিতর্ক ওঠে বিভিন্ন মহলে। এমন নামকরণের কারণে সামাজিক বিভাজন উস্কানি পেতে পারে, এই আশঙ্কাও তৈরি হতে থাকে। রোগে আক্রান্ত হলে কৃষ্ণবর্ণের মানুষ ও এলবিজিটিকিউরা চিকিৎসা এড়াতে পারেন, এমন কথাও ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: কোভিড না ডেঙ্গি, বুঝবেন কী করে?

ভাইরাসের বৈজ্ঞানিক নামকরণ

বৈজ্ঞানিক নামকরণ করে তখনকার মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বিতর্কের নিষ্পত্তি করেছিল। মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের (MonkeyPox) বদলে‌ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে ক্লেডস ওয়ান, টুএ ও টুবি নাম রাখা হয়েছিল। দেশ ও ভাইরাসের প্রকৃতি অনুযায়ী এই নামকরণ করা হয়। তবে এতেও মেটেনি‌ সমস্যা। সাধারণের মধ্যে প্রচলিত নাম মাঙ্কিপক্স (MonkeyPox) থাকায় সমস্যা বাড়তে থাকে। মার্কিন প্রশাসনের তরফে তাই নাম বদলে ‘এমপক্স’ (mpox) রাখার আবেদন করা হয়।

আসলে নামের কারণে অনেকেই টিকা নিতে চাইছেন না। প্রশাসনের তরফে টিকার প্রকল্প বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি রোগের লক্ষণ দেখা দিলেও চিকিৎসা করাতে অনেকে রাজি হচ্ছেন না। সব মিলিয়ে প্রশাসনিক স্তরে একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে বাইডেন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ। বিজ্ঞানীদের মতে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাস একটি জু়নোটিক (Zoonotic) গোত্রের ভাইরাস।‌ অর্থাৎ বন্যপ্রাণীর দেহ থেকে মানুষের শরীরে এসেছে। তাই প্রাথমিকভাবে এর এমন নামকরণ করা হয়। তবে নামকরণেই পরেই বিভিন্ন মহলে নাম বদলের দাবি ওঠে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles