Same Sex Marriage: সমলিঙ্গ বিয়ের স্বীকৃতি ইস্যুতে অবস্থান জানাতে কেন্দ্রকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে তাঁদের বিবাহ নিবন্ধীকৃত হোক...
supreme_court
supreme_court

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিয়ে (Same Sex Marriage) নিয়ে কেন্দ্র ও অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটারামানিকে নোটিশ পাঠাল দেশের শীর্ষ আদালত। আজ, শুক্রবার পাঠানো হয় নোটিশ। সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে দুটি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে তাঁদের বিয়ে নিবন্ধীকৃত হোক। এ ব্যাপারেই কেন্দ্র ও অ্যাটর্নি জেনারেলের অভিমত জানতে চেয়ে নোটিশ (Notice) পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।

সময় মাত্র চার সপ্তাহ...

সুপ্রিম কোর্টের যে বেঞ্চে সমলিঙ্গ বিয়ের (Same Sex Marriage) স্বীকৃতি চেয়ে করা আবেদনের শুনানি চলছে, ওই বেঞ্চে রয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলি। কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠানোর আগে তাঁরা প্রবীণ আইনজীবী মুকুল রোহতোগির কাছে এই আবেদনের নির্যাস শোনেন। তার পরেই পাঠানো হয় নোটিশ। চার সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে কেন্দ্রকে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

সমলিঙ্গ বিয়ের (Same Sex Marriage) স্বীকৃতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে দুটি আবেদন জমা পড়েছিল, তার একটি করেছিলেন জনৈক সুপ্রিয় চক্রবর্তী ও অভয় ঢ্যাং। এঁরা হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা। আর দ্বিতীয় আবেদনটি করেছিলেন পার্থ ফিরোজ মেহরোত্রা এবং উদয় রাজ। আবেদনে বলা হয়েছে, সমলিঙ্গ বিয়েকে স্বীকৃতি না দিলে সংবিধানের ১৪ ও ২১ নম্বর ধারায় সাম্যের অধিকার এবং জীবনের অধিকার লঙ্ঘিত হয়।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে দেশের শীর্ষ আদালত এক ঐতিহাসিক রায়ে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারাটি বাতিল বলে ঘোষণা করে। ওই ধারায় সমলিঙ্গ মানুষের যৌন সম্পর্ককে অপরাধ বলে গণ্য করা হত। ১৮৬৫ সালে ব্রিটিশ সরকারের চালু করা ওই ধারা ব্রিটেনেই বাতিল হয় তার ঠিক ১০২ বছর পরে। তবে ভারতে তা চালু ছিল। সুপ্রিম কোর্টের যে সাংবিধানিক বেঞ্চ ওই ধারাটি বাতিল করেছিলেন, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

দেশের শীর্ষ আদালত ধারাটি বাতিল করলেও, সরকার এখনও এ ব্যাপারে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। সেই কারণেই থমকে রয়েছে সমলিঙ্গ বিয়ের স্বীকৃতি। যার জেরে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে সুপ্রিয় চক্রবর্তী ও অভয় ঢ্যাংকে। একই কারণে সুপ্রিম কোর্টের শরণ নিতে হয়েছে পার্থ ফিরোজ মেহরোত্রা ও উদয় রাজকে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles