মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর করে ধর্মান্তকরণ (Forced Religious Conversion) ‘অত্যন্ত গুরুতর’ বিষয়, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে এই নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা উচিত। কেন্দ্রকে সোমবার এই মর্মে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের শুনানি
জোর করে ধর্মান্তকরণ, লোভ দেখিয়ে বা ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তকরণ রুখতে কেন্দ্র পদক্ষেপ নিই, অভিমত শীর্ষ আদালতের। এই ধরনের ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিতে পারে বলেও মত আদালতের। ক্ষুণ্ণ হতে পারে নাগরিকের অধিকার তথা ধর্মীয় অধিকার।
সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় জোর করে ধর্মান্তরিত করার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সোমবার সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি এম আর শাহ (MR Shah) এব হিমা কোহলির (Hima Kohli) বেঞ্চে। বেঞ্চ জানায়, “এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জোর করে ধর্মান্তরকরণ বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। নচেত আগামী দিনে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।”
আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
কেন্দ্রের মতে
এই বিষয়ে সলিসিটার জেনারেল (Solicitor General) তুষার মেহতা (Tushar Mehta) বলেন, “দু’টি আইন আছে। একটি ওড়িশা সরকারের এবং অন্যটি মধ্যপ্রদেশ সরকারের। ওই আইনে প্রতারণা বা জালিয়াতি, কিংবা অর্থের মাধ্যমে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। বিবেচনার জন্য দুটি আইনকে আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়। শীর্ষ আদালত ওই আইনগুলির বৈধতা বহাল রেখেছে।” আদালতে তিনি জানান, যে আদিবাসী অঞ্চলে মাঝেমাঝেই জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, সকলের ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকা উচিত। কিন্তু জোর করে ধর্ম পরিবর্তন কখনওই কাম্য নয়। কেন্দ্রকে এই বিষয়ে মত জানানোর জন্য ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই বিষয়ে ২৮ নভেম্বরে পরবর্তী শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: বালিতে গিয়ে সুনক, মাক্রঁর সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি, কেন জানেন?
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours