TET Scam: লোক পাঠিয়ে ২১ কোটি টাকার তোলাবাজি করেছেন মানিক, বিস্ফোরক তাপস

তাপস দাবি করেন, অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রার্থী পিছু পাঁচ হাজার টাকা করে নিতেন মানিক।
Manik-Tapas
Manik-Tapas

মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: লোক পাঠিয়ে তোলা তুলতেন রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। ইডি (ED) দফতরে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। বুধবার শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলির অফলাইন রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের হিসাব দিতে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের দফতরে হাজিরা দেন তাপস। তিনি দাবি করেন, অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রার্থী পিছু পাঁচ হাজার টাকা করে নিতেন মানিক। ইডি দফতরে এদিন তাপস বলেন, "মানিক লোক পাঠিয়ে দিতেন। আমার কর্মীরা বলেছে, অফিস থেকে ফাইল ও টাকা যেত। উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত। অফলাইনে প্রাপ্য তো দিতেই হত।" 

প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলিতে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া চলত। সেই ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য ফি অনলাইনেই নেওয়া হত। তবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর যে আসন খালি থাকত, সেগুলিতে অফলাইনে ভর্তি নেওয়া হত। সেই অফলাইন ভর্তির ক্ষেত্রেই এই টাকা নিত কলেজগুলি। যার কাটমানি যেত তৃণমূল নেতাদের কাছেও। এই সন্দেহ আগেই করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই সন্দেহ থেকেই তাপসের মহিষবাথানের অফিসে ইডি গত ১৫ অক্টোবর অভিযান চালিয়েছিল। ওই অফিস থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করে তারা। তারপরেই সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয় তাপস মণ্ডলকে। বুধবার দুপুর প্রায় পৌনে ১২ টা নাগাদ ইডি অফিসে হাজিরা দেন তিনি। এই নিয়ে চতুর্থবার ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন তাপস।  

আরও পড়ুন: অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা উচিৎ, এসসিও বৈঠকে চিনকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

এদিন ইডি দফতরে ঢোকার আগে তাপস মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "ডকুমেন্টস নিয়ে এসেছি। অফলাইনে ভর্তির যে তথ্য চেয়েছেন, সেগুলো দিতে যাচ্ছি। অফিস থেকে মানিকবাবু লোক পাঠিয়ে দিতেন। আমার কর্মীরা তাই বলেছেন। অফিস থেকে ফাইল এবং টাকা যেত। উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত। অফলাইনে ফিসটা তো দিতেই হত।" ইডি সূত্রে খবর, ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২১ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। অফলাইনে ভর্তির জন্য পড়ুয়া পিছু ৫ হাজার টাকা নেওয়া হত। 

প্রসঙ্গত, তাপস মণ্ডলের সংস্থা ‘মিনার্ভা এডুকেশনাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ আপাতত ইডির স্ক্যানারের নিচে। এই সংস্থার অধীনে সাতটি পলিটেকনিক এবং আইটিআই কলেজ রয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। সূত্রের খবর, মানিক-পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যের সংস্থার সঙ্গে ৫৩০টি বেসরকারি বিএড, ডিএলএড কলেজের মানোন্নয়নের জন্য যে ২.৬৪ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল, সেই সম্পর্কে তাপসের কাছে জানতে চাইতে পারে ইডি। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles