মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত চুল উঠে যাওয়ার (Hair Fall) সমস্যায় ভুগছেন আট থেকে আশি। তবে কোভিড আরও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। কারণ, দেখা গিয়েছে, বহু মানুষ কোভিড থেকে সেরে যাওয়ার পর অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে যেসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে চুল পড়ার সমস্যা অন্যতম।
কোভিডের পর এই চুল পড়ার সমস্যাটি টেলোজেন এফ্লুভিয়াম নামে পরিচিত। আমাদের মাথার ত্বকের প্রায় ৯০% চুল বৃদ্ধির পর্যায়ে থাকে, যাকে বলা অ্যানাজেন, এবং প্রায় ১০% চুল স্থায়ী পর্যায়ে থাকে, যাকে টেলোজেন বলা হয়। আমাদের স্ক্যাল্পে, অ্যানাজেন প্রায় তিন বছর স্থায়ী হয় এবং তারপরে চুল টেলোজেনে রূপান্তরিত হতে শুরু করে, যা দুই থেকে ছয় মাসের মধ্যে স্থায়ী হয়। টেলোজেনের শেষে, আমাদের চুলগুলি তাদের ফলিকল থেকে ঝরে যায় এবং নতুন অ্যানাজেন চুল দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। তারপরে, এই বৃদ্ধি চক্র চলতে থাকে। কিন্তু কোভিডের ফলেই এই চক্রে ব্যাঘাত ঘটে ও চুল পড়ার সমস্যা বেসি দেখা যায়।
আরও পড়ুন: চুল ঝরে পাতলা হয়ে যাচ্ছে? খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো...
তবে এই চুল পড়া রোধে কোন তেল ও শ্যাম্পু উপকারী, জানেন?
নারকেল তেল চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও কিছু প্রয়োজনীয় তেল প্রয়োগ করলে চুলের বৃদ্ধি বাড়তে পারে। যেমন, কুমড়ার বীজের তেল, জোজোবা তেল, ল্যাভেন্ডার তেল, পেপারমিন্ট তেল, টি ট্রি ওয়েল চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর ক্যাফিন-ভিত্তিক শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ শ্যাম্পু বা স্ক্যাল্প ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে যায়।
কেমন ধরণের খাবার চুল পড়া রোধ করতে পারে?
খাদ্যাভাস পরিবর্তন করা চুলের বৃদ্ধি এবং চুলের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। খাদ্যে অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড গ্রহণ চুল পড়া কমাতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও কিছু ভিটামিন এবং খনিজ যা সাহায্য করতে পারে তার মধ্যে রয়েছে: সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি, ডি, এ, সি, ই, আয়রন, জিঙ্ক ইত্যাদি।
এছাড়াও কোভিড ছাড়াও চুল পড়ার অন্য কারণও হতে পারে। তাই রক্ত পরীক্ষা, পুল টেস্ট, স্ক্যাল্প বায়োপসি, লাইট মাইক্রোস্কোপি ইত্যাদি পরীক্ষাাগুলো করিয়ে চুল পড়ার আসল কারণ জানা যেতে পারে।
+ There are no comments
Add yours