মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়। এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে ব্যাঙ্কে কর্মরত এক দম্পতি (Bank employee couple)৷ গোয়েন্দাদের অনুমান, এই দম্পতিই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha and Arpita) একাধিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে সাহায্য করেছিলেন। কোথায় কোথায় টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, কোন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে রাখা হত দুর্নীতির টাকা, তা খোঁজ করতে গিয়ে ইডির হাতে এসেছে এই দম্পতির নাম।
আরও পড়ুন: জ্ঞানবন্ত না গেলেও দিল্লির ইডি দফতরে আজ যাচ্ছেন আর এক আইপিএস কোটেশ্বর রাও
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফোনের কল ডিটেলস পরীক্ষা করে দেখার সময়ই ইডির হাতে এই তথ্য আসে। দেখা যায়, রাত হলেই দুটি বিশেষ নম্বরে ফোন করতে প্রাক্তন মন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে সেই নম্বরের অবস্থান। এই দুটি বিশেষ নম্বর দেখে সন্দেহ হয় আধিকারিকদের।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই বিশেষ নম্বরটি একজন ব্যাঙ্ক কর্মীর। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দাদের অনুমান, ব্যাঙ্কে কর্মরত এই কর্মী ও তাঁর স্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নানা অ্যাকাউন্ট খুলতে সাহায্য করতেন ৷ ইতিমধ্যেই ইডি প্রথমে পার্থ-অর্পিতার ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা জানালেও পরে আরও ১০টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পায়। এই অ্যাকাউন্টগুলোই খুলে দিয়েছিলেন ওই দম্পতি, অনুমান গোয়েন্দাদের। পাশাপাশি কালো টাকা কীভাবে সাদা টাকায় রূপান্তরিত করা যায়, সেই পরামর্শও দিতেন বলে অনুমান ৷ ফলে এই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সঙ্গে পার্থর বহুদিনের পরিচয়। পার্থকে সাহায্য করে ওই দম্পতিও দুপয়সা পেতেন কি না সেটাও খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। নামে বা বেনামে একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কে অন্তত শতাধিক অ্য়াকাউন্ট খুলেছন পার্থ। সেই অ্য়াকাউন্টে অত্যন্ত কৌশলে টাকা রাখা হত। সেই অ্যাকাউন্টগুলিরই খোঁজ করছে ইডি।
+ There are no comments
Add yours