মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালের আস্থা ভোটে জিতে গেলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নতুন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। সেই সঙ্গে শিব সেনার (Shiv Sena) পরিষদীয় দলের নেতার পদেও বসেছেন তিনি। ফলে অস্বস্তি বাড়ল উদ্ধব শিবিরের। মোট ১৬৪ জন বিধায়কের সমর্থন পেয়েছেন শিন্ডে। বিজেপির (BJP) সঙ্গে হাত মিলিয়েই সরকার গড়েছেন তিনি।
এবার মহারাষ্ট্রে শিন্ডে-বিজেপি সরকার। এদিন আস্থা ভোটে জয়ের জন্য শিন্ডের প্রয়োজন ছিল ১৪৪ ভোট। জাদু সংখ্যা (ম্যাজিক ফিগার) পার করে ১৬৪ জন বিধায়কের সমর্থন পেয়ে শক্তিপরীক্ষায় সহজেই পাশ করলেন একনাথ। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবসেনার মুখ্য সচেতক ভরত গোগাভালের হুইপের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে-পুত্র আদিত্য। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণ ও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিভার ভোট দেননি। যার জেরে তাঁদের ঘিরে জল্পনা দানা বেঁধেছে। সমাজবাদী পার্টির দুই বিধায়ক ও এমআইএমের এক বিধায়ক ভোটদান থেকে বিরত থেকেছেন। শিন্ডে সরকারের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ৯৯টি।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে হারের ধাক্কা! দলীয় সব সংগঠন ভাঙলেন অখিলেশ
আস্থাভোটের আগের দিন মহারাষ্ট্র বিধানসভায় স্পিকার হিসাবে নির্বাচিত হন রাহুল নরবেকর। ১৬৪-১০৭ ভোটে অধ্যক্ষ নির্বাচনে জয়লাভ করে বিজেপি-শিন্ডে গোষ্ঠী। এরপর এদিন শিবসেনার পরিষদীয় দলনেতার পদে ফেরানো হয় একনাথকে। ওই পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল উদ্ধব শিবিরের অজয় চৌধুরিকে। মুখ্য সচেতক পদ থেকেও উদ্ধব বাহিনীর নেতা সুনীল প্রভুকে সরিয়ে ভারতশেঠ গোগাভালেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, দলের রাশ নিজের হাতে রাখতে মরিয়া উদ্ধব ঠাকরে (Thackeray)। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় নয়া স্পিকার নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গেই সমস্যা বেড়েছে উদ্ধবের। তাঁর নিযুক্ত চিফ হুইপ ও পরিষদীয় দলনেতাকে সরিয়ে দিয়েছেন নবনিযুক্ত স্পিকার রাহুল নরবেকর। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন উদ্ধব। তবে আস্থাভোটে একনাথের বিপুল জয় উদ্ধবকে একেবারে কোণঠাসা করে দিয়েছে বলেই অভিমত রাজনৈতিক মহলের।
+ There are no comments
Add yours