মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় আনুমানিক সাতশো বছরের পুরনো পুরীর রথযাত্রা (Puri Rath yatra) উৎসব। এই বিশেষ উৎসবকে ঘোষা যাত্রা বলেও পরিচিত। রথযাত্রার দিন এই তিন দেবতাকে গুণ্ডিচা মন্দিরে (Gundicha Temple) জগন্নাথদেবের (Lord Jagannath) মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আষাঢ় মাসের শুক্লাপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে রথযাত্রা পালিত হয়। মোট ১১ দিন ধরে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরামকে উৎসর্গ করে আরাধনা করা হয়। রথযাত্রা ঘিরে রয়েছে একাধিক আচার-অনুষ্ঠান। রয়েছে একাধিক পুজবিধি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক জগন্নাথদেবের রথযাত্রার (Jagannath Rath yatra) বিভিন্ন দিনক্ষণ ও তার তাৎপর্য—
আরও পড়ুন: বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি আনতে চান? রথযাত্রার পবিত্র দিনে করুন এই কাজগুলো
আনসারী- স্নানযাত্রার পর অর্থাত পূর্ণিমার পরে কাঠের মূর্তিগুলি শোভাযাত্রা (রথযাত্রা) তারিখ অবধি গর্ভগৃহের একটি ঘরে রাখা হয়।
চেরা পাহারা- মন্দিরের সিংহদ্বারের উত্তর দিকে পাশাপাশি রেখে দেওয়া হয়। এদিন ওড়িশার রাজা সোনার হাতলের ঝাড়ু দিয়ে রথটি পরিষ্কার করেন, পথও পরিষ্কার করেন এবং চন্দন ছিটিয়ে দেন।
রথযাত্রা- মূল উৎসব। রথযাত্রা শুরু হয় এদিন। গুণ্ডিচাতে মাসির বাড়িতে যাওয়ার প্রথা জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার।
হেরা পঞ্চমী- প্রথম পাঁচ দিন গুণ্ডিচা মন্দিরে থাকেন তিন ভাই-বোন। পঞ্চম দিন ভগবান জগন্নাথের স্ত্রী দেবী লক্ষ্মীর এক অনুষ্ঠান ও পুজো করা হয়।
সন্ধ্যা দর্শন- এই দিনে জগন্নাথ দর্শন করা ১০ বছর ধরে শ্রী হরির পুজো করার সমান পুণ্য লাভ হয়।
আরও পড়ুন: পুরীর রথযাত্রার তিন রথের আলাদা মাহাত্ম্য আছে, জানেন কি?
বহুদা যাত্রা- অর্থাৎ উল্টো রথযাত্রা। ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রার ঘরে প্রত্যাবর্তন।
সুনা বেসা- রথযাত্রা শেষে যখন নিজের বাড়িতে জগন্নাথ ফিরে আসেন, তখন নিয়ম মেনে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরামকে ফের নতুন পোশাক পরানো হয়। সুন্দর সাজে সজ্জিত করা হয়।
আধার পানা- আষাঢ়ের শুক্ল দ্বাদশীতে দিব্য এই রথে একটি বিশেষ পানীয় নিবেদন করা হয়। একে পানা বলা হয়, যা দুধ, পনির, চিনি এবং শুকনো ফল দিয়ে তৈরি হয়।
নীলাদ্রি বিজে- জগন্নাথ রথযাত্রার অন্যতম আকর্ষণীয় আচার হল নীলাদ্রি বিজে।
+ There are no comments
Add yours