Bipodtarini Puja 2022: বিপদ এড়াতে বিপত্তারিণী পুজোয় ভুলেও করবেন না এই কাজগুলি

Bipodtarini Puja: সংসারে সংকট এড়াতে ব্রত পালনের আগে জেনে নিন সব খুঁটিনাটি....
kolkata-bipodtarini-puja
kolkata-bipodtarini-puja

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপাত্তারিণী পুজোর (Bipodtarini Puja) গুরুত্ব হিন্দু ধর্মে অনেক। দেবী দুর্গার (Goddess Durga) ১০৮ অবতারের মধ্যে অন্যতম দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ হল মা বিপত্তারিণী। বিপদ থেকে সন্তান ও পরিবারকে রক্ষা করতেই এই পুজো করে থাকেন মহিলারা। স্বামী, সন্তান এবং সমগ্র পরিবারের মঙ্গল কামনায় বিবাহিত মহিলারা এই পুজো করে থাকেন।

আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া থেকে দশমী পর্যন্ত এই পুজো করা হয়ে থাকে। রথযাত্রা (Rath Yatra) থেকে উল্টোরথের মধ্যে মঙ্গল ও শনিবার বিপত্তারিণীর ব্রত রাখা হয়। এবছর, ২ জুলাই শনিবার এবং ৫ জুলাই মঙ্গলবার পালন করা হবে এই বিপত্তারিণী ব্রত।

বিশ্বাস করা হয়, বিপত্তারিণী পুজো করলে শুধু বিপদই নয় অর্থ সঙ্কট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ হয়। তবে, বিপত্তারিণী পুজোর বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে, যা নিয়ম নিষ্ঠা করে পালন করতে হয়। তবে না জেনে এই বিপত্তারিণী পুজো করলেই হতে পারে চরম বিপদ। 

আরও পড়ুন: অম্বুবাচীর দিনগুলিতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি, অন্যথায় অমঙ্গল

বিপত্তারিণী পুজোর নিয়মবিধি—

  • বিপত্তারিণী পুজোর আগের ও পুজোর দিন ভুলেও আমিষ খাবার খাওয়া উচিত নয়। 
  • এই দুদিন নিরামিষ খাবার খাওয়া উচিত। এমনকি, বাড়ির সকল সদস্যেরও নিরামিষ আহার গ্রহণ করা উচিত। 
  • যারা ব্রত পালন করবেন, পুজোর দিন চালের জিনিস যেমন ভাত, চিড়ে, মুড়ি একদমই খাওয়া উচিত নয়। 
  • বিপত্তারিণী ব্রত পালনের জন্য ১৩টি ফল, ১৩টি ফুল, ১৩টি পান, ১৩টি সুপারি, ১৩টি এলাচ সহ নৈবেদ্যের প্রয়োজন হয়।
  • বিপত্তারিণী পুজোর অন্যতম অঙ্গ হল তাগা বা ডুরি। ১৩টি লাল সুতোয় ১৩টি গিঁট এবং ১৩টি দুর্বা ঘাস দিয়ে ডুরি (চলিত কথায় ডোর) তৈরি করতে হয়।
  • এই ডুরি পুরুষদের ডান এবং মহিলাদের বাম হাতে ধারণ করতে হয়। বিশ্বাস, এই সুতো বেঁধে রাখলে স্বামী-সন্তানের উপর আসা সমস্ত বিপদ দূর হয়।  
  • পুজো শেষের পর খাদ্য গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও ১৩টি খাবার খেতে হবে, যেমন - ১৩টা লুচি, ১৩ রকমের ফল, ইত্যাদি। 
  • পুজো চলাকালীন পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলবেন না। এর ফলে দেবী রেগে যেত পারে। বাড়িতে অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।
  • বিপত্তারিণী পুজোর সময় কিছু ভুল হলে আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে। 
  • ব্রাহ্মণ দ্বারা আম্রপল্লব-সহ ঘট স্থাপন করে নাম গোত্র সহযোগে পুজা দিতে হয়। পুজোর পরে শুনতে হবে বিপত্তারিণীর ব্রতকথা। যা এই পুজোর অন্যতম অঙ্গ। 
  • বিপত্তারিণী পুজোর সময়ে কাউকে অপমান করবেন না। ভুল করে কোনও মহিলার সম্পর্কে কুরুচিকর কথা বলবেন না। এতে দেবী ক্রুদ্ধ হন।
  • বিপত্তারিণী পুজোর দিন কাউকে চিনি দেবেন না। বিশ্বাস, এদিন চিনি দিলে সংসারে অশান্তি ও আর্থিক সংকট দেখা যায়।
  • কোনও অন্ধকার-অপরিচ্ছন্ন স্থানে বিপত্তারিণী পুজো করবেন না। এতে দেবী রুষ্ট হন এবং ঘরের সুখ-শান্তি নষ্ট হয়।
  • বিপত্তারিণী পুজোর দিন নিকট সদস্য ছাড়া কাউকে টাকা ধার দেবেনও না, নেবেনও না। বিশ্বাস করা হয় যে, এই সময় প্রদত্ত অর্থ ফেরত আসে না।

আরও পড়ুন: যোগিনী একাদশী কবে জেনে নিন, ব্রত পালনের নিয়মবিধি জানেন তো?

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles