Indian naval ship: ৩২ বছর ধরে দেশসেবা, ‘অবসর’ নৌসেনার দুই রণতরী অক্ষয়, নিশাঙ্কের

ফের একই নামে জলে নামল দুই যুদ্ধ জাহাজ...
nishank-and-akshay
nishank-and-akshay

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ৩২ বছর ধরে দেশসেবা। অংশগ্রহণ করেছে 'অপারেশন তালওয়ার' ও 'অপারেশন পরাক্রম' অভিযানে। সম্প্রতি শেষ হয়েছে ‘ডিউটি’। এবার অবসরের পথে আইএনএস অক্ষয় (INS Akshay) এবং আইএনএস নিশাঙ্ক (INS Nishank)। এই দুই যুদ্ধজাহাজকে 'ডিকমিশন্ড' (decommissioned) করল ভারতীয় নৌসেনা (Indian navy)।

আরও পড়ুন : ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় "অস্ত্র"

মুম্বাইয়ের নেভাল ডকইয়ার্ডে আয়োজিত একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে হয় ডিকমিশনিং প্রক্রিয়াটি। রক্তরাঙা সূর্যাস্তের সময় শেষবারের মতো নামানো হয় জাতীয় পতাকা,  নৌসেনার পতাকা এবং দুটি জাহাজের ডিকমিশনিং পেন্যান্ট। আইএনএস নিশাঙ্ক একটি উচ্চগতির মিসাইল ক্রাফট (High speed missile craft)। ১৯৮৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দেশসেবায় যুক্ত হয়। এর এক বছর পর নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস অক্ষয়। আইএনএস নিশাঙ্ক এবং আইএনস অক্ষয় যথাক্রমে ২২ মিসাইল ভেসেল স্কোয়াড্রন ও ২৩ পেট্রল ভেসেল স্কোয়াড্রনের অংশ ছিল। মহারাষ্ট্র নেভাল এরিয়ার ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিংয়ের অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণের অধীনে ছিল এই দুই যুদ্ধজাহাজ।

আরও পড়ুন : সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে দুটি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান এল ভারতে

নৌসেনা জানিয়েছে, জাহাজগুলি ৩২ বছরেরও বেশি সময় ধরে সক্রিয়ভাবে নৌ-পরিষেবায় যুক্ত ছিল। কার্গিল যুদ্ধের সময় অপারেশন তালওয়ার এবং ২০০১ সালে অপারেশন পরাক্রম সহ বেশ কয়েকটি নৌ অভিযানে অংশ নিয়েছিল। উরি হামলার পরে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ছিল, তখন নিশাঙ্ককেও মোতায়েন করা হয়েছিল। এদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Admiral R Hari Kumar)।

১৯৯৫-৯৬ সাল পর্যন্ত আইএনএস নিশাঙ্ক ছিল তাঁরই অধীনে। উপস্থিত ছিলেন এম গোপীনাথও। ১৯৯৬ সালের মে মাসে আইএনএস অক্ষয়-এর কমান্ড নিয়েছিলেন তিনিই। এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন গোপীনাথ। বলেন, আমি আমার বাবাকে একজন নৌ-অফিসার হিসাবে আইএনএস অক্ষয়ে আসতে দেখেছি। আমার স্বপ্নও পূরণ হয়েছিল। আমিও একজন নৌ-অফিসার হয়েছিলাম।

গত সপ্তাহেই ৩৪ বছর চাকরি করার পর অবসর নিয়েছিল আইএনএস গোমতী। এদিন নিল আরও দুই জাহাজ। তবে নৌবাহিনীর ঐতিহ্য অনুসারে, দেশের সেবায় অক্লান্ত থাকেন সৈনিকরা। এই জাহাজরাও সৈনিক। তাই কোনও যুদ্ধজাহাজ ডিকমিশন্ড করা হলে নতুন দুই জাহাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয় একই নামে।

সৈনিকদের যে মৃত্যু নেই!

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles