মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ধর্মীয় আচারে লাগল রাজনীতির রং!
মঠাধীশকে পালকিতে বসিয়ে এলাকা পরিভ্রমণ করেন ভক্তরা। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথায় ইতি টানল একটি সরকারি নির্দেশিকা। যার জেরে তপ্ত হয়েছে তামিলনাডুর রাজনৈতিক আবহ। শাসক দলের সঙ্গে তুমুল অশান্তি বিরোধী দলগুলির।
ফি বছর মঠাধ্যক্ষকে পালকিতে বসিয়ে এলাকা পরিভ্রমণ করেন ভক্তরা। তামিলনাড়ুতে এই প্রথা পত্তিনম প্রবেশম নামে খ্যাত। প্রতি বছর মাইলাদুথুরাই জেলায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ধর্মপূরম অধিনাম নামের একটি মঠ কর্তৃপক্ষ। শৈবদের অন্যতম প্রধান তীর্থক্ষেত্র এটি। চলতি বছরে এই ধর্মীয় আচার পালনেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। অশান্তির সূত্রপাত তা নিয়েই।
২২ মে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। প্রথা অনুযায়ী, মঠাধ্যক্ষকে রূপোর সিংহাসনে বসিয়ে নগর পরিভ্রমণ করা হয়। প্রশাসনের যুক্ত, ধর্মপূরম মঠের এই প্রথা মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা এই প্রথা চলতে দেওয়া যায় না। প্রথা পালন করতে গিয়ে হতে পারে আইন-শৃঙ্খলার অবনতিও। সেটাও প্রথা রদের একটা কারণ বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের।
প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এম কে স্ট্যালিন সরকারের বিরুদ্ধে বিধানসভায়ই সরব হয়েছে বিরোধীরা। যার জেরে রাজ্যের মন্ত্রী পি কে সেকর বাবু বলেন, মঠাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। এতেও অবশ্য প্রশমিত হয়নি বিরোধীদের ক্ষোভ।
ডিএমকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে তিনি নিজেই মঠাধ্যক্ষের পালকি বহন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধর্মপূরম মঠের পাশে দাঁড়িয়েছে মাদুরাই অধিনাম নামের একটি মঠ কর্তৃপক্ষও। এই মঠের মঠাধীশ বলেন, প্রাচীন এই মঠের ধর্মীয় প্রথাকে সম্মান জানানো উচিত। এর বিরোধিতা করা ঠিক হবে না। চলতি বছরেও যাতে অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পালিত হয়, সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।
+ There are no comments
Add yours