Primary TET Scam:চাকরির বিনিময়ে সোনা! প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় প্রকাশ্যে আরেক ‘রঞ্জন’

অভিযোগ পাওয়ার পরেই নদিয়ার এই নতুন 'রঞ্জন' - এর  বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
Calcutta_High_Court
Calcutta_High_Court

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা দেশের নজর যেন কেন্দ্রীভূত হয়েছে বাংলার দিকে। না না কোনও ভালো কারণে নয়। সামনে আসছে তৃণমূল সরকারের একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা। ইতিমধ্যেই দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জী (Arpita Mukherjee)। তাঁদের একাধিক বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এখনও শেষ হয়নি সেই বিশাল গুপ্তধনের উদ্ধার কাজ। জায়গায় জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। আর এর মাঝেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary TET Scam) প্রকাশ্যে এল আরও এক ‘রঞ্জন’ (New Ranjan) - এর নাম। শুক্রবার এই রঞ্জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নদিয়ার বাসিন্দা এই 'রঞ্জন' - এর আসল নাম সুমন চট্টোপাধ্যায়। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা বলে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলাকা থেকে তিনি তিন কোটি টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগ করেছেন খোদ চাকরি প্রার্থীরাই। 

আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রের শিকার! দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, কেন এমনটা বললেন তিনি?

এদিন আদালতে সুমন চট্টোপাধ্যায়ের নামে নদিয়ার সুপর্ণা দাস রায় নামের এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, জেলায় বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে বেকার ছেলে মেয়েদের থেকে টাকা তুলতেন তিনি। নিজেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্তসহায়ক সুদীপ্ত আচার্য ও দিব্যেন্দু বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে টাকা তুলতেন। প্রতিটি চাকরির জন্য নিতেন ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। এমনকি কেউ নগদ টাকা দিতে না পারলে তাঁর কাছ থেকে সোনার গয়নাও নিতেন ওই অভিযুক্ত। প্রসঙ্গত, সুমন চট্টোপাধ্যায় নিজেও পেশায় একজন শিক্ষক। 

অভিযোগ পাওয়ার পরেই নদিয়ার এই নতুন 'রঞ্জন' - এর  বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

এর আগে উপেন বিশ্বাস বাগদার নামের এক ব্যক্তি এক রঞ্জনের নাম করেছিলেন আদালতে। তিনিও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। 

আরও পড়ুন: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

এএসসি কাণ্ডের পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে দুর্নীতি। একের পর এক কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মামলার হাত ধরেই প্রকাশ্যে আসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়টি। তারপরেই সামনে আসে গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতি। তাতেও শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের নাম জড়িয়েছে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এসএসসির একাধিক মামলার সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। তারপরেই সেটা ইডির হাতে চলে যায়। আর ঝোলা থেকে বেরিয়ে পড়ে বেড়াল। থুরি টাকা।        
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles