Maharastra Political Crisis: ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

বিদ্রোহীদের নোটিশ দিতে চলেছেন ডেপুটি স্পিকার...
udhav-thakre
udhav-thakre

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই জটিল হচ্ছে মহারাষ্ট্রের (Maharastra) রাজনৈতিক পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য বিদ্রোহী মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) পাশাপাশি বিজেপিকেও (BJP) দুষেছেন। তাঁর অভিযোগ, শিবসেনাকে (Shiv Sena) শেষ করতে চাইছে বিজেপি। এদিকে, এদিনই ডেপুটি স্পিকার বিদ্রোহী ১৬ বিধায়ককে নোটিশ পাঠাতে পারেন বলে একটি সূত্রে খবর। অন্যদিকে, পরিস্থিতির মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শুক্রবার রাতে দুই পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শিবসেনার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকও হওয়ার কথা।

আরও পড়ুন : 'বর্ষা ছাড়লেও ছাড়ছি না...' বললেন বিদ্রোহ দমনে প্রত্যয়ী উদ্ধব

নরম হিন্দুত্ব নিয়ে বিবাদের জেরে বিদ্রোহ শুরু শিবসেনায়। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাঁরই সতীর্থ একনাথ শিন্ডের। তার পরেই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে গুজরাটের সুরাট ও পরে আসামের গুয়াহাটিতে চলে যান শিন্ডে। ঠাকরে শিবির এখনও সরকারের গরিষ্ঠতা না হারানোর দাবি করলেও, ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে বিক্ষুব্ধ শিবির। শিন্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গে ৫০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। ঠাকরে শিবিরের ওপর চাপ বাড়াতে দলের প্রতীক ও নাম চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়করা।   

এদিকে বিক্ষুদ্ধদের বিদ্রোহ দমন করতে শুক্রবার সন্ধ্যায় সরকার বাঁচানোর উপায় খুঁজতে বৈঠকে বসেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে এবং এনসিপির দুই নেতা শারদ পাওয়ার ও অজিত পাওয়ার।

এদিনই ঠিক হয়েছে, পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করতে বৃহস্পতিবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছেন উদ্ধব। সেখানে দলের পদস্থ নেতারা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন মহারাষ্ট্রের প্রতিটি জেলার সভাপতি। সূত্রের খবর, শুক্রবারের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী দিনে বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়কদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে ঠাকরে শিবিরে যোগদানের জন্যা চাপ দেওয়া হবে। শিন্ডে ঘনিষ্ঠ কুরলার বিধায়ক মঙ্গেশ কুড়ালকরের দফতরে এদিন ভাঙচুরও চালান ঠাকরে সমর্থকরা।

আরও পড়ুন: সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

এদিকে, এদিনই ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়াল বিদ্রোহী ১৬ জন শিবসেনা বিধায়ককে নোটিশ পাঠাতে চলেছেন। ২৬ জুন বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁদের বিধানসভায় সশরীরে হাজির হয়ে তাঁদের অবস্থান জানাতে বলা হবে।

বিদ্রোহী বিধায়কদের ডিসকোয়ালিফিকেশন করা নিয়ে কার্যত দুভাগ আইনজ্ঞরা। তবে সিংহভাগের মতে, দলীয় বৈঠকে গরহাজির থাকার অজুহাতে তাঁদের ‘ডিসকোয়ালিফাই’ করা যাবে না। যদিও একনাথ সহ ১৬ জন বিধায়ককে ডিসকোয়ালিফিকেশনের নোটিশ জারি করা হতে পারে বলে একটি সূত্রের খবর।

এদিকে, বৃহস্পতিবারই গুয়াহাটির হোটেল থেকে একনাথ জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে একটি বড় জাতীয় দলের যোগাযোগ রয়েছে। এদিন একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে তিনি বলেন, আমি আসলে বলতে চেয়েছি, আমার সঙ্গে বালাসাহেব ঠাকরে এবং আনন্দ দিঘের শক্তি রয়েছে। বিদ্রোহীরা দ্রুত রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে, রাজ্যে অশান্তি এড়াতে সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ। এদিকে, বিদ্রোহীরা যে ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছেন, তা বোধহয় বুঝতে পেরেছেন উদ্ধব। তিনি বলেন, যাঁরা শিবসেনা ছাড়তে চান, ছাড়তে পারেন। আমি আবার নতুন শিবসেনা গড়ব।

রাজনীতির দ্যূতক্রীড়ায় উদ্ধবের গলায় এ কোন সুর!

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles