মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নদিয়া জেলার শান্তিপুরে (Santipur) প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তৃণমূলের বিধায়ক, এমপি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, পঞ্চায়েত সদস্যরা আমন্ত্রিত রয়েছেন। কিন্তু, আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিজেপির বিধায়ক, এমপি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের কাউকেই। সোমবার দুপুরে এই অভিযোগ তুলে নদিয়ার ফুলিয়ার বিডিও অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
১৯০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, বন্ধ বার্ধক্যভাতা! (Santipur)
বিজেপির এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নদিয়ার রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও সামিল ছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখে শান্তিপুরে (Santipur) আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেখানে বিজেপির কোনও প্রশাসনিক কর্তা থেকে এমপি বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী এখানে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন না দলীয় কর্মসূচি করতে আসছেন। বিজেপি-র শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, ২০১৬ সালে শান্তিপুর-কালনার গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রিজের জন্য বরাদ্দ হয় ১৯০০ কোটি টাকা। চাষিদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করা হলেও সেই ব্রিজ এখনও তৈরি হয়নি। ব্রিজের টাকা গেল কোথায়? আসলে ১৯০০ কোটি টাকা কেলেঙ্কারি করেছে তৃণমূল। সব টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢুকেছে। যাদের আগে পাটকাটির বাড়ি ছিল, তাঁদের এখন তিনতলা বাড়ি। এই ব্লকে ১৪ হাজার বার্ধক্য ভাতা বন্ধ রয়েছে, এই টাকা অবিলম্বে বরাদ্দ করতে হবে। আমাদেরকে প্রশাসনিক সভায় না ডাকার কারণ আমরা যদি এই সমস্ত অভিযোগ তুলে ধরি সেই ভয়ে।
তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?
নদিয়া জেলার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তপন সরকার কটাক্ষ করে বলেন, একটি ব্যস্ততম দফতরের সামনে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে নাটক করছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভাতে কাকে ডাকা হবে আর কাকে ডাকা হবে না তার সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন। এখানে রাজনীতি টানা ঠিক নয়। ওরা এসব করে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে। তাতে লাভ হবে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours